রাত পোহালেই গাইবান্ধা-১ আসনের উপনির্বাচন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট 

গাইবান্ধা : আগামীকাল মঙ্গলবার গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় দফা এই উপ-নির্বাচনে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। দুপুরে প্রিজাইডিং অফিসাররা নির্বাচনের সব উপকরণ নিয়ে ভোটকেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। নির্বাচন উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

রোববার সকালে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নির্বাচনের ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপার, সিলগালা সংক্রান্ত প্রিজাইডিং অফিসারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সুন্দরগঞ্জের একটি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নের ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৪ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬২২ জন।

ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১০৯টি ও ভোট কক্ষের সংখ্যা ৬৪৭টি। প্রিজাইডিং অফিসার ১০৯ জন, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৬৪৭জন ও পোলিং অফিসার ১ হাজার ২৯৪ জন।

উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী প্রার্থীরা হচ্ছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আফরুজা বারী (নৌকা), জাতীয় পার্টি (জাপা) সমর্থিত প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী (লাঙ্গল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) জিয়া জামান খান (আম) ও গণফ্রন্টের শরিফুল ইসলাম (মাছ)।

এই উপ-নির্বাচনে পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব, আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।

এর মধ্যে পুলিশের ১ হাজার ৭৬০ জন, বিজিবি ৮ প্লাটুন, র‍্যাবের ৪০টি টিম ও ৮৭২ জন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনজুরুল ইসলাম লিটন দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হলে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনটি শূন্য হয়। পরে ২০১৭ সালের ২২ মার্চ উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে জয়লাভ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা আহমেদ।  তিনিও সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে এক মাস ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর মারা যান। ফলে আসনটি আবারও শূন্য হয়।

সারাবাংলা/টিএম/জেএএম