খুচরায় চালের দাম কমেনি, বাড়েনি পেঁয়াজের দাম
২ অক্টোবর ২০২০ ১৪:৪৪
ঢাকা: সরকার পাইকারি পর্যায়ে চালের দাম নির্ধারণ করে দিলেও খুচরা বাজারে এখনো এর কোনো প্রভাব পড়েনি। যতটুকু বেড়েছিল চালের দাম, বাজারে সেই আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের বাজারও একই রকম, আগের থেকে বাড়েনি। স্থির রয়েছে ব্রয়লার মুরগির দামও। তবে সবজির দাম আরও বেড়েছে। কাঁচামরিচের দামও বাড়তে বাড়তে আকাশ ছোঁয়ার পথে।
শুক্রবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব বাজারে চালের দোকানিরা বরাবরের মতোই বলছেন, সরকার চালের দাম বেঁধে দিলেও তাদের চাল আগের বেশি দামে কেনা। ফলে তাদের বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মহাখালীর বউবাজারে দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। কারওয়ান বাজারে খুচরায় একই দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
সবজির মধ্যে কারওয়ানবাজারে বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা ও গাজর ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এই বাজারের বিক্রেতা রবিনের দাবি, সবজির দাম আগের মতোই রয়েছে। নতুন করে দাম বাড়েওনি, কমেওনি। যদিও ক্রেতারা বলছেন, আগের সপ্তাহের চেয়ে দুয়েকটি সবজির দাম কিছুটা হলেও বেড়েছে।
এদিকে, মহাখালীর বউবাজারে সবজির মধ্যে পেঁপে ৪০ টাকা, ঢেড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, সিম ১৬০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, করলা ৮০ টাকা ও টমেটো ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এই বাজারে শশা ৯০ থেকে ১০০ টাকা ও কাঁচামরিচ ২০০ থেকে থেকে ২৪০ টাকা টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা হালি দরে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা, রসুন ৯০ থেকে ৮০ টাকা ও আদা ২০০ থেকে ২৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এই বাজারের সবজি বিক্রেতা সেলিম সারাবাংলাকে বলেন, দুয়েকটি সবজির দাম নতুন করে বেড়েছি। কিন্তু কোনো সবজির দামই কমেনি।
এদিকে, সরকার পাইকারি পর্যায়ে বা মিল গেটে চালের দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে আগের দামেই চাল বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে খুচরা বাজারে মিনিকেট ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা, আটাশ ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, নাজিরশাইল ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর পাইকারি বাজারে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) মিনিকেট চালের দাম পড়ছে ২৭৫০ থেকে ২৮০০ টাকা, আটাশ ২৪০০ টাকা ও নাজিরশাইল ২৩০০ থেকে থেকে ৩০০০ টাকা। যদিও সরকার মিনিকেট চালের ৫০ কেজির বস্তার সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ২৫৭৫ টাকা।
বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক গাফফার হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, গেল সপ্তাহের দামেই চাল বিক্রি হচ্ছে। দাম কমেনি। মহাখালীর বউবাজারের দোকানী শরিফ মিয়া বলেন, চালের দাম এখনো বাড়তি রয়েছে। কারওয়ানবাজারের হাজি ইসমাইল অ্যান্ড সন্সের মালিক জসিম উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, চালের বাজার একই রকম রয়েছে। সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে নতুন রেটের চাল আসেনি। আমরা বেশি দামে চাল কিনেছি, এখন তো কম দামে বিক্রি করতে পারি না। তাই আগের দামেই চাল বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, কারওয়ানবাজারে গরুর মাংস ৬০০ ও খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগি ১২০ টাকা, পাকিস্তানি কর্ক ২২০ টাকা ও সাদা কর্ক ২০০ ও দেশি মুরগি ৪৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মুরগির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেনি, বাড়েওনি।
কারওয়ান বাজার চালের দাম টপ নিউজ পেঁয়াজের দাম বাজারদর ব্রয়লার সবজি