কাঠমাণ্ডুতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্ত
১২ মার্চ ২০১৮ ১৫:১৬
সারাবাংলা ডেস্ক
নেপালের কাঠমান্ডুতে ঢাকা থেকে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। ত্রিভুবন এয়ারপোর্ট থেকে আশীষ কুমার সরকার নামে একজন সারাবাংলাকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
নেপালের একটি টেলিভিশন থেকে নেওয়া দুর্ঘটনার দৃশ্য।
কাঠমাণ্ডুর পোস্টের রিপোর্টেও এ খবর জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে ত্রিভুবন এয়ারপোর্টের পূর্ব দিকে রানওয়েতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
আশীষ কুমার সরকার সারাবাংলাকে কয়েকটি ছবি পাঠিয়েছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, বিধ্বস্ত উড়োজাহাজ থেকে ধোঁয়া উড়ছে।
ত্রিভুবন এয়ারপোর্টে আশীষ কুমার অপেক্ষা করছিলেন ইউএস-বাংলার ফিরতি ফ্লাইটে ঢাকা আসবেন বলে। তিনি সারাবাংলাকে টেলিফোনে জানান, বড় ধরনের হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। রানওয়েতে যেখানে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে আগুন জ্বলছে।
বিধ্বস্ত ফ্লাইটটি বিএস-২১১ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ইউএস-বাংলার ফ্লাইট শিডিউল অনুযায়ী ওই উড়োজাহাজটি দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়। এটি দুপুর সোয়া ২টায় কাঠমান্ডুতে পৌঁছানোর কথা ছিল।
বিমানটির মোট আসন সংখ্যা ৭৮। ওই বিমান ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার সময় তাতে ৬৭ জন যাত্রী ছিলেন। বিধ্বস্ত বিমান থেকে ১৭ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ত্রিভুবন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুর জানিয়েছেন, বিমানটি অবতরণের সময় একদিকে কাত হয়ে এয়ারপোর্টের পাশে একটি ফুটবল মাঠে ছিটকে পড়ে। এ সময় তাতে আগুন ধরে যায়।
‘কী কারণে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে তা জানা যায়নি’ বলেন প্রেম নাথ ঠাকুর।
তিনি জানান, ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও নেপাল সেনাবাহিনী উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
দুর্ঘটনার পর বিমানবন্দরটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিমান বিধ্বস্তের বিষয়ে নেপাল টিভি প্রতিবেদনে ২০ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে বিমানটির ক্যাপ্টেন বেঁচে আছেন বলেও জানিয়েছে তারা।
সারাবাংলা/এমআই/একে/এমএম