বগুড়া: বগুড়া-৬ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের (জি এম সিরাজ) বগুড়ায় আগমন ঠেকাতে শহরে ঝাড়ু মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা। বিদ্রোহীদের তোপের মুখে সংসদ সদস্য নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা পরে পুলিশের সহায়তায় তার নির্ধারিত কর্মসূচিতে যোগ দেন।
শনিবার (৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টাব্যাপি ঝাড়ু মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে।
দলীয় সূত্র জানায়, বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনের দেড় বছরের মধ্যে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের ২৩ জন নেতাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। সর্বশেষ গত ২৮ সেপ্টেম্বর জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর সিপার আল বখতিয়ারকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে বহিস্কার করা হয়। এরপর হতেই বিএনপির নেতাকর্মীদের একাংশ বিদ্রাহী হয়ে ওঠে।
এনিয়ে জেলা বিএনপি কার্যালয় দখল করতে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের পক্ষ থেকে দুই পক্ষকে কার্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।
শনিবার বগুড়া জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সম্মেলনে সংসদ সদস্য জিএম সিরাজকে প্রধান অতিথি করা হয়। বগুড়া জেলা জজ আদালত চত্বরে আয়োজিত কর্মসূচিতে বেলা ১১টায় তিনি যোগ দিবেন এমন খবরে বিদ্রোহী গ্রুপের বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ ঝাড়ু মিছিল নিয়ে শহরের শেরপুর রোডের পিটিআই মোড়ে অবস্থান নেয়। এরপর মিছিলটি নিয়ে নেতাকর্মীরা শহরের সাতমাথা প্রদক্ষিণ করে আবারো পিটিআই মোড়ে সাংসদের শহরের প্রবেশ পথে অবস্থান নেয়। সেখানে অবস্থানকালে এবং মিছিলে বিদ্রোহীরা জিএম সিরাজকে সংস্কারপন্থী নেতা উল্লেখ করে দল থেকে তার অব্যাহতি এবং তার সুপারিশে বহিস্কৃতদের দলে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।
বিদ্রোহী গ্রুপ প্রায় দেড় ঘণ্টা মিছিল ও অবস্থান শেষে ফিরে যায়। এর আধা ঘণ্টা পর দুপুর দেড়টার দিকে জিএম সিরাজ পুলিশের সহায়তায় নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেল বহর নিয়ে আদালত চত্বরে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে যোগ দেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, বিক্ষোভ মিছিল শেষে সাংসদ তার কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। সাংসদের নিরাপত্তার জন্য আদালত চত্বরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।