Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আরও তিন ব্যাংক কর্মকর্তার সাক্ষ্য


৪ অক্টোবর ২০২০ ১৮:১০

ঢাকা: সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ (এস কে সিনহা) ১১ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আরও তিন ব্যাংক কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিয়েছেন।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আগামী ২৫ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের এ তারিখ ধার্য করেন।

সাক্ষীরা হলেন- শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের উত্তরা শাখার নির্বাহী অফিসার আতাউর রহমান, রফিকুল ইসলাম ও পদ্মা ব্যাংকের গুলশান শাখার ম্যানেজার এস এম সায়েম। মামলাটিতে চার্জমিটভূক্ত ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে দশ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো।

গত ১৩ আগস্ট বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম মামলাটির চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন— ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক এবং টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার বাসিন্দা নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়। মামলার তদন্তের সময় এজাহারভুক্ত আসামি মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ মারা গেলে তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

গত ৫ জানুয়ারি ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর ও আত্মসাতের অভিযোগে দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। এরপর আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের হাজির হতে নির্দেশনা দেন।

বিজ্ঞাপন

২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে কমিশনের জেলা সমন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১-এ এই মামলাটি দায়ের করেন। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক বেনজীর আহমেদ এ চার্জশিট দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে অস্বাভাবিক দ্রুততার সঙ্গে চার কোটি টাকা ভুয়া ঋণ তৈরি করে তা একই দিনে পে-অর্ডারের মাধ্যমে আসামি এসকে সিনহার ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করেন। পরে এসকে সিনহা নগদ, চেক ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা সরিয়ে নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, যা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

দুর্নীতির অভিযোগ ব্যাংক কর্মকর্তা সাক্ষ্য সাবেক প্রধান বিচারপতি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর