দুই সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফাঁকিবাজির অভিযোগ
৪ অক্টোবর ২০২০ ১৯:০৯
ঠাকুরগাঁও: জেলার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থেকেও নেই, দায়িত্ব পালন করে আসছেন অন্যজন। অপরদিকে, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যোগদানের পর থেকেই ঢাকায় অবস্থান করছেন। তাই এই দুই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেই ফাঁকিবাজির অভিযোগ তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন রেজা শাহানা জাহান। যোগদানের পরই তিনি ছুটিতে যান। ছুটির সময় শেষ হলেও তিনি কখনও বিদ্যালয়ে এসে দায়িত্ব পালন করেননি। অবশেষে চলতি বছরের জুন মাসের ২৪ তারিখ অবসরে যাবেন বলে বিদ্যালয়ে এসে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন।
যদিও গত ২২ জুন রংপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা কার্যালয়ে সহকারী কর্মকর্তা হিসাবে তিনি যোগ দেন। চলতি মাসের ১০ তারিখ তিনি পিএলআরএ যাবেন। ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে গত ২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তেকে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন পিযুষ কান্ত রায়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রেজা শাহানা জাহান বলেন, ‘আমি যোগদানের পর ছিলাম না এটা সঠিক নয়। আমি অসুস্থতাজনিত কারণে ৫ মাস ছুটিতে ছিলাম। আগামী ১০ অক্টোবর থেকে পিএলআরএ যাচ্ছি।’
অপরদিকে, ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহানা খাঁন গত ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর যোগদান করেন। এর পর থেকেই তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। করোনাকালীন সময়ে স্কুল বন্ধ থাকলেও প্রধান শিক্ষকের স্টেশনে থাকার কথা থাকলেও তিনি অবস্থান করছেন নিজ বাসা ঢাকায়।
ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহানা খাঁন বলেন, ‘আমি করোনাকালীন সময়ে ঢাকায় আছি। কিন্তু আমার অফিসিয়াল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আমি নিজেও একজন করোনা রোগী ছিলাম।’
দুই বিদ্যালয়ের একাধিক অভিভাবকের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই প্রতিষ্ঠান দুটিতে সিন্ডিকেটের কারণে অনেকে এসে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে না। কেউ এসে নিয়ম অনুযায়ী চলতে চাইলেও সিন্ডিকেটের কারণে তা করতে পারে না। এইভাবে বিভিন্ন জেলায় সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাচ্ছে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনো সমাধান আসেনি। একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান না থাকলে সে প্রতিষ্ঠানটি ভালোভাবে চলতে পারে না। এ বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হবে।’
প্রধান শিক্ষক সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়