Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মাস্ক কেলেঙ্কারি: ৭ আসামির বিদেশ যাত্রায় দুদকের নিষেধাজ্ঞা


৫ অক্টোবর ২০২০ ১৫:৫৬

ঢাকা: করোনার জন্য ডাক্তার ও নার্সদের সুরক্ষা সামগ্রী হিসেবে নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। আর এই সাত আসামি যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য পুলিশের ইমিগ্রেশন শাখায় চিঠি দিয়েছে কমিশন।

সোমবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আসামিরা করোনার মধ্যেও নকল জিনিস সরবরাহ করেছে। তারা দুর্নীতি করেছে। সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে একজন গ্রেফতারও হয়েছেন। বাকি আসামিরা যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য কমিশনের পক্ষ থেকে ইমিগ্রেশনে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’

এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) ছয় কর্মকর্তা ও জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নকল মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই মামলায় সেদিন দুপুরেই গ্রেফতার হন আব্দুর রাজ্জাক। সেদিন বিকেলেই তাকে আদালাতে তোলা হয়। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- সিএমএসডি’র উপপরিচালক ডা. জাকির হোসেন, সহকারী পরিচালক (স্টোরেজ অ‌্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন) ডা. শাহজাহান সরকার, চিফ কো-অর্ডিনেটর ও ডেস্ক অফিসার জিয়াউল হক, ডেস্ক অফিসার (বর্তমানে মেডিক‌্যাল অফিসার, জামালপুর) সাব্বির আহমেদ, স্টোর অফিসার (পিআরএল ভোগরত) কবির আহমেদ, সিনিয়র স্টোর কিপার ইউসুফ ফকির।

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত ১০ জুন কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধানে দুর্নীতির আলামত পাওয়ায় মামলা করে কমিশন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অথবা সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসা করার জন্য ডাক্তার-নার্স এবং অন্যান্যদের সুরক্ষায় এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের জন্য জেএমআই গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছিল সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেএমআই গ্রুপ এন-৯৫ মাস্কের নামে ২০ হাজার ৬১০টি মাস্ক সরবরাহ করে। সেগুলো ১০টি প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হয়। পরবর্তী সময়ে দেখা যায় যে, ওই মাস্কগুলো প্রকৃতপক্ষে এন-৯৫ মাস্ক নয়।

এন-৯৫ দুদক বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা মাস্ক কেলেঙ্কারি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর