ধর্ষণের প্রতিবাদে শাহবাগ অবরোধ, বিক্ষোভ
৫ অক্টোবর ২০২০ ১৬:৫৫
ঢাকা: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ধারণসহ সাম্প্রতিককালে দেশব্যাপী ঘটে যাওয়া ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে পৃথকভাবে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
সোমবার (৫ অক্টোবর) দুপুর থেকে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ করে সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।
‘বন্দি সময়ের চিৎকার’ ব্যানারে অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেয় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী বলেন, ‘সারাদেশে একের পর এক ধর্ষণ ঘটেই চলেছে৷ সম্প্রতিকালে সিলেটের এমসি কলেজ এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ভয়ঙ্কর নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে৷ দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতির জন্যই এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে৷’
দুপুর থেকেই শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখায় এই এলাকায় ধীরগতিতে যানচলাচল করছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করে বিক্ষোভ দেখিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
এসময় ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা ন্যাক্কারজনক এই ঘটবার সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে অভিযোগ করেন। এছাড়া এর সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানান তারা।
এছাড়া দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ধর্ষণ ও নিপীড়নের প্রতিবাদে অবস্থান নেয় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মী।
পরে সংগঠনটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে গণপদযাত্রা করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। পদযাত্রাটি শাহবাগ থেকে টিএসসি-শহীদ মিনার-পলাশী-নীলক্ষেত-কাঁটাবন হয়ে পুনরায় শাহবাগ এসে শেষ হয়ে।
পদযাত্রা শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, `ছাত্রলীগ ধর্ষণ করে, আওয়ামী লীগ টাকা পাচার করে! আমাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়েই তারা ১৪ বছর টিকে আছে। তারা বিচার ব্যবস্থাকে দলীয়করণ করেছে। `সর্বাঙ্গে ব্যথা ঔষধ দেব কোথা`—এই হলো অবস্থা!`