ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণ: পুলিশের এসআইসহ ৩ জনের সাক্ষ্য

ঢাকা: রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনার দায়ের করা মামলায় আসামি মজনুর বিরুদ্ধে জব্দ তালিকার সাক্ষী পুলিশের উপপরদর্শক (এসআই) কোমল কুমার সাহাসহ তিন জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এই মামলায় আগামী ১১ অক্টোবর ফের সাক্ষ্য নেওয়া হবে।

সোমবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক মোসা. কামরুন্নাহারেরর আদালতে সাক্ষীরা জবানবন্দি দেন। এসআই কোমল কুমার সাহা ছাড়া বাকি দুই সাক্ষী হলেন— মো. আবুল ও খায়রুল। এদিন সাক্ষ্য নেওয়ার সময় মজনুকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে গত ২৬ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক আসামি মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। গত ১৬ মার্চ মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু সিদ্দিক ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় অভিযোগপত্র জমা দেন।

মামলাটি তদন্তের জন্য গত ৬ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই দিন দুপুরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারি বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে তার বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা করেন ওই শিক্ষার্থী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসটি ক্যান্টনমেন্ট থানার কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে থামে। বাস থেকে নেমে ওই শিক্ষার্থী ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় সুযোগ বুঝে তাকে জাপটে ধরেন এক ধর্ষক। এরপর ফুটপাতের পাশের ঝোঁপে নিয়ে ধর্ষণ ধরেন।

ঢাবি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ধর্ষক একটি মোবাইল ফোন, একটি হাত ঘড়ি ও নগদ দুই হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার রাতেই ওই শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় মজনু নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি এই মজনু বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। মামলার তদন্ত শেষে তৈরি করা চার্জশিটেও তাকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।

কুর্মিটোলায় ধর্ষণ ঢাবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ধর্ষণ মামলা সাক্ষ্যগ্রহণ