সহকারী শিক্ষক নিয়োগে থাকছে না জাতীয় কোটা
৫ অক্টোবর ২০২০ ২০:৩৫
ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূন্য পদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পদে জাতীয় কোটা তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে বহাল থাকছে অভ্যন্তরীণ কোটা। এরই মধ্যে সিদ্ধান্তে সায় দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে উন্নীত করায় সরকারি চাকরির কোটা পদ্ধতি বাতিলের শর্তে সোমবার (৫ অক্টোবর) অভ্যন্তরীণ কোটা রাখতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্মতি দিয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বিসিএস ছাড়া সরকারি চাকরিতে নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলাভিত্তিক ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশসহ মোট ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত ছিল।
২০১৮ সালে জানুয়ারিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের পর সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা করতে তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে একটি কমিটি করে দেয় সরকার। এরপর সরকারি চাকরির ৯ম থেকে ১৩ গ্রেড পর্যন্ত (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদ) কোটা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য একই বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাছে সুপারিশ জমা দেওয়া হয়।
এদিকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর সরকারি চাকরিতে অষ্টম থেকে তার উপরে প্রথম গ্রেড পর্যন্ত (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বাতিল করে মন্ত্রিসভা। সেক্ষেত্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের পদটি ১৩তম গ্রেডে উন্নীত করায় জাতীয় কোটা বাতিল করে শুধু অভ্যন্তরীণ কোটা রাখায় অনুমোদন দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সেক্ষেত্রে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা থাকছে। আর এসবের মধ্যে ২০ শতাংশ কোটা থাকবে বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগের জন্য।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, শিক্ষকদের গ্রেড উন্নীত হওয়ায় কোটা জটিলতা এড়াতে নিয়োগ বন্ধ রেখে জনপ্রশাসনের মতামত জানতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠিয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় কোটা বাতিল করে অভ্যন্তরীণ কোটা বহাল রাখার মত দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সমস্যা সমাধান হওয়ায় দ্রুতই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। উল্লেখ্য, প্রাক-প্রাথমিক স্তরে ২৫ হাজার এবং মাধ্যমিক স্তরে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের অনুমতি রয়েছে।