Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সমালোচনা হলেও স্বাস্থ্যখাত এখন বিশ্বে প্রশংসিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


৬ অক্টোবর ২০২০ ২১:৪৫

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘পৃথিবীর কোথাও স্বাস্থ্য সেক্টর নিয়ে এত সমালোচনা হয়নি যতটা বাংলাদেশ নিয়ে হয়েছে। এখন বাংলাদেশ প্রশংসিত। স্বাস্থ্য বিভাগ ভালো করছে বলেই অর্থনীতিতে আমরা ভালো করছি। বিভিন্ন দেশের জিডিপি মাইনাসে চলে গেছে, সেখানে বাংলাদেশের জিডিপি ছয় পয়েন্ট অতিক্রম করেছে।’

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) আয়োজিত ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা ও প্রস্তুতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অফিস-আদালত খুলে গেছে। যার কারণে আমাদের অর্থনীতি সচল। ইন্ডাস্ট্রি খুলেছে, গার্মেন্টসের অর্ডার আসছে। এটাও মানুষের সাহসের কারণে। মানুষ এখানে অর্ডার দিচ্ছে কেন? কারণ দেখেছে, এদেশ কোভিড কন্ট্রোল করে ফেলেছে। এটা একটা বিরাট বিষয়।’

তিনি বলেন, ‘আজ স্বাস্থ্যসেবা ভালো কাজ করেছে। তাই অর্থনীতি সচল। অন্য দেশের জিডিপি নেগেটিভ সূচকে গেলেও আমাদের সূচক কমেছে অল্প। বিভিন্ন দেশের জিডিপি মাইনাসে চলে গেছে, সেখানে বাংলাদেশের জিডিপি ছয় পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। জিডিপি ছয়ের ওপরে থাকার পেছনে স্বাস্থ্য বিভাগের অনেক ভূমিকা রয়েছে। জিডিপি প্লাস থাকার কারণে স্বাস্থ্য বিভাগের বিরাট ভূমিকা আছে। কারণ, মানুষ জানে যে অসুস্থ হলে হাসপাতালে যাওয়ার ব্যবস্থা আছে, চিকিৎসা আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের চিকিৎসা সেবা অনেক উন্নত হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা হচ্ছে। মানুষ এখন সাহস পাচ্ছে। হাসপাতালের বাইরে মানুষ মারা যায় না। প্রতিবেশী দেশেও রাস্তায় লাশ পড়ে রয়েছে। এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট শুরু হয়ে গেছে। দোকানপাট খুলে গেছে। মিল ফ্যাক্টরি চলছে। খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। গার্মেন্টসে কাজ করছে শ্রমিকরা, গার্মেন্টসে অর্ডার আসছে। সবকিছু সম্ভব হয়েছে মানুষের সাহসের কারণেই।’

লক্ষণ থাকলে সবাইকে নমুনা পরীক্ষা করতে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আগে একটি ল্যাব ছিল। এখন ১০৭টি ল্যাব। টেস্ট কিন্তু ১০-১২ হাজারের বেশি হচ্ছে না। এটাও একটা প্রশ্ন, কেন টেস্ট বেশি হয় না। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি, আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু এখন আর কেউ এগিয়ে আসে না টেস্ট করার জন্য। যারা প্রয়োজন মনে করেন তারাই এগিয়ে আসেন। আমি এখনো আহ্বান করবো যে আপনারা টেস্টের জন্য আসেন। আপনারা আসেন এবং সময়মতো চিকিৎসা নিন। ভালো হয়ে যাবেন।’

ভ্যাকসিন বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা আমরা নিয়ে রেখেছি। সম্ভাব্যযেসব কোম্পানিগুলো ভ্যাকসিন তৈরি করবে তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আমরা অবহিত করেছি যে ভ্যাকসিনটি আগে পাওয়া যাবে ইফেক্টিভ হবে এবং আমরা অ্যাফোর্ড করতে পারব সে দিকেই যাব।’

তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন এখনো কোনটাই বাজারে সেভাবে আসেনি। যখন আসবে এবং যেসব কোম্পানির ভ্যাকসিন আসতে পারে তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রেখেছি। আশাকরি সময়মতো সেটি বাংলাদেশ পাবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিপিএমসিএর সভাপতি এম এ মবিন খান। আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ সায়েন্সের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। এছাড়া ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নুর, ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, বিপিএমসিএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা. আনোয়ার হোসেন খান, বিপিএমসিএর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও উপদেষ্টা ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেনসহ অন্যান্যরা।

করোনা টপ নিউজ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় হেলথ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর