৩২ বছর ধরে ঝুলে থাকা সীমা হত্যা মামলা ৩ মাসে নিষ্পত্তির নির্দেশ
৭ অক্টোবর ২০২০ ১৪:১১
ঢাকা: ৩২ বছর ধরে ঝুলে থাকা সীমা হত্যার বিচার তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। যে সাক্ষীর জন্য মামলাটি আটকে আছে সে না আসলেও মামলার অন্যান্য ডকুমেন্টস দেখে মামলাটি নিষ্পিত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৭ অক্টোবর) ৩২ বছর ধরে ঝুলে আছে সীমা হত্যার বিচার শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনলে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান, তার সঙ্গে ছিলেন জামিউল হক ফয়সাল।
পরে আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, এ মামলায় একজন সাক্ষী না আসায় ৩২ বছর ধরে মামলাটি ঝুলে আছে। এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। বিষয়টি আমরা আদালতের নজরে আনি। আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেন। তিন মাসের মধ্যে মামলাটি বিচারিক আদালতকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি না করলে তার বিরুদ্ধে বিভাগী ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরোন ঢাকার জগন্নাথ সাহা রোডে ১৯৮৮ সালের ২৬ এপ্রিল খুন হন সীমা মোহাম্মদী (২০)। বাড়িতে ঢুকে ছুরিকাঘাত করে সীমাকে হত্যা করে মোহাম্মদ আহমদ ওরফে আমিন নামে এক যুবক। এরপরই ওই যুবকের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় হত্যা মামলা করে সীমার মা ইজহার মোহাম্মদী। মামলার তদন্তে উঠে আসে সীমাকে বিয়ে করতে না পেরে সে তাকে হত্যা করে।
আসামি পলাতক থাকায় ১৯৯৯ সালের ২২ জুন তাকে হাজিরের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়।
এরপর ২০০১ সালে ২৯ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের পরও সাক্ষ্য দিতে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের অনীহার কারণে মামলার বিচার কাজ বার বার পিছিয়ে যায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের তৎকালীন প্রভাষক আনোয়ার হোসেন সাক্ষ্য দিতে আজও পর্যন্ত আদালতে হাজির হননি। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও তিনি আসেননি।
মামলাটি বর্তমানে ঢাকার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য এ পর্যন্ত ১১২ বার তারিখ পড়েছে। আদালতের ১১ জন বিচারক বদল হয়েছে।
সারাবাংলা/এজেডকে/এমআই