৬ বছরের শিশু রিফাত হত্যার দায়ে জুয়েলের যাবজ্জীবন, দু’জন খালাস
৭ অক্টোবর ২০২০ ১৮:৩৬
ঢাকা: রাজধানীর লালবাগ থানা এলাকায় ছয় বছরের শিশু রিফাতকে অপহরণ করে হত্যার দায়ে আরিফুর রহমান জুয়েলের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল। এর পাশাপাশি তাকে ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শিশু রিফাতের পরিবারের কাছে এই অর্থ পরিশোধ করতে বলেছেন আদালত। অর্থদণ্ডের টাকা পরিশোধ না করলে তাকে আরও একবছর কারাভোগ করতে হবে।
বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মুন্সী রবিউল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে দুই আসামি ইকবাল মুন্সি ওরফে মেকার ইকবাল ও হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, হাবিবুর রহমান বিভিন্ন সময় রিফাতের বাবা রফিকুল ইসলামকে বসতবাড়ি কেনার প্রস্তাব দেন। রফিকুল ইসলাম এতে অস্বীকৃতি জানালে আসামি তার ওপর চাপ তৈরি করেন। রফিকুল ইসলাম এলাকার লোকজন ও আত্মীয়-স্বজনদের বিষয়টি জানিয়েছিলেন। ২০১৫ সালের ৯ জুন রিফাতের বাবা কর্মস্থলে চলে যান। রাত ৮টার দিকে স্ত্রী তাকে ফোন দিয়ে জানান, রিফাতকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় লালবাগ থানায় একটি জিডি করা হয়। রাত সোয়া ১২টার দিকে ফোনে রিফাতের অপহরণকারীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। অপহরণকারীরা বিষয়টি র্যাব-পুলিশকে না জানানোর জন্য সতর্ক করে। তবে রফিকুল ইসলাম বিষয়টি র্যাব-১০-কে জানান।
এরপর আসামিরা আজিমপুর ম্যাটারনিটি হাসপাতালের সামনে ময়লা ফেলানোর জায়গায় ৪০ হাজার টাকা রেখে আসতে বলেন। অপহরণকারীদের একজন টাকা নিতে এলে র্যাব-পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে আরও দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১১ জুন কামরাঙ্গীরচর থানার বরিশুর গুদারাঘাট সংলগ্ন মধুমতি বিস্কুট ফ্যাকটারির সামনে বুড়িগঙ্গা নদীর কিনার থেকে ভাসমান অবস্থায় বস্তাবন্দি রিফাতের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় রিফাতের বাবা রফিকুল ইসলাম ১১ জুন মামলাটি দায়ের করেন। ওই বছরের ৬ অক্টোবর পুলিশ তিন আসামিকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র বা চার্জশিট দাখিল করে। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ৩৫ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য নেন।
অপহরণ অপহরণের পর হত্যা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড শিশু রিফাত শিশু রিফাতকে হত্যা