করোনা সংক্রমণের ৭ মাস: কমেছে শনাক্তের হার, বেড়েছে মৃত্যু
৮ অক্টোবর ২০২০ ০৮:৩৮
ঢাকা: বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। এর পর কখনো বেড়েছে আবার কখনো কমেছে শনাক্তের হার। তবে সম্প্রতিকালে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্তের হার কমে আসলেও মৃত্যুর হার কমেনি। বিশ্বের অন্যান্য কোভিড-১৯ আক্রান্ত দেশগুলোর তুলনায় মৃত্যুহার কম থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে দেশে মৃত্যুর হার অন্যান্য সময়ের চাইতে বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন নমুনা পরীক্ষায় অনীহার কারণে অনেকেই সঠিক সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারছেন না। একইসঙ্গে দেরিতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কারণেও মৃত্যুর হার বেড়েছে।
বুধবার (৭ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত পরিস্থিতি নিয়ে পাঠানো স্বাস্থ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৬ অক্টোবর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সময়ে মোট ৩৫ জন মারা গেছেন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে। এই সময়ে ১৩ হাজার ৩২ টি নমুনা পরীক্ষা করে এক হাজার ৫২০ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত ২০ লাখ ২৬ হাজার ৮০৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন লাখ ৩৭ হাজার ১৫১ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এই সময়ে মোট পাঁচ হাজার ৪৪০ জন মারা গেছেন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে। বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৮৬ হাজার ৬৩১ জন কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন।
কমেছে সংক্রমণ শনাক্তের হার, বেড়েছে মৃত্যু হার:
বাংলাদেশে ৮ মার্চ প্রথম তিনজনের শরীরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া যায়। কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রথম মৃত্যুবরণের ঘটনা ঘটে ১৮ মার্চ। প্রথম দিকে দেশে মৃত্যুহার বেশি থাকলেও সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এটি কমে আসে।
৮ মার্চ দেশে প্রথম কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পরে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত ২১৪ দিনে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণের শতাংশ করে আসলেও কমেনি মৃত্যুর হার।
মার্চ মাসের ৮ তারিখ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে ৩ হাজার ৭৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৬৪ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া যায়। এর মধ্যে ১৭ জন মৃত্যুবরণ করেন। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণের শতাংশ ৪. ৩৬ হলেও এই সময়ে সংক্রমিতদের মধ্যে ১০. ৩৭ শতাংশ মৃত্যুবরণ করেন।
৮ এপ্রিল থেকে ৭ মে পর্যন্ত দেশে ১ লাখ ১ হাজার ২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২ হাজার ২৬১ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া যায়। এই সময়ে ১৮২ জন মৃত্যুবরণ করেন যা শনাক্তের তুলনায় ১.৪৮ শতাংশ। এই সময়ে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় ১২. ১১ শতাংশের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া যায়।
৮ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত সময়ে দেশে দুই লাখ ৯২ হাজার ৪৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এই সময়ে ৫৩ হাজার ৩৪৪ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া যায় যা নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে ১৮.২৪ শতাংশ। এই সময়ে দেশে ৬৮৯ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা যান যা শনাক্তের তুলনায় ১.২৯ শতাংশ।
৮ জুন থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত সময়ে দেশে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৪৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয় যা মাসিক হিসেবে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এই সময়ে ১ লাখ দুই হাজার ৮৭৬ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া যায় যা নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে ২১. ৫০ শতাংশ। এই ৩০ দিনেই মূলত বাংলাদেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক কোভিড-১৯ সংক্রমিত পাওয়া যায়। এই ৩০ দিনে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন এক হাজার ২৬৩ জন যা এক মাসে সর্বোচ্চ এখন পর্যন্ত। এই মাসের পরিসংখ্যান লক্ষ্য করে দেখা যায় শনাক্তের তুলনায় ১.২৩ শতাংশ সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন যা আগের মাসের তুলনায় কিছুটা কম।
৮ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশে ৩ লাখ ৬১ হাজার ৩৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৩ হাজার ৮৫৭ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া যায়। নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে এই মাসে ২৩.২১ শতাংশের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া যায় যা শতাংশ হিসেবে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এই সময়ে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা যায় এক হাজার ১৮২ জন যা শনাক্তের তুলনায় ১.৪১ শতাংশ।
৮ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশে ৪ লাখ ৬ হাজার ৯০১ টি নমুনা পরীক্ষা করা যায়। এই সময়ে ৭৪ হাজার ৮৫৭ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া যায় যা নমুনা পরীক্ষার ১৮.৪০ শতাংশ। এই সময়ে ১ হাজার ১৮৩ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন যা শনাক্তের অনুমাতে ১.৫৮ শতাংশ।
৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে দেশে তিন লাখ ৮২ হাজার ১৮০ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪৫ হাজার ৭৯২ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া যায়। নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে এই মাসে শনাক্তের হার ১১.৯৮ শতাংশ যা বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ম। তবে এই সময়ে দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯২৪ জন। শনাক্তের তুলনায় এই মাসে মারা গেছেন ২.০২ শতাংশ বেশি যা বিগত মাসগুলোর চাইতে বেশি।
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
কোভিড প্রতিরোধ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও ভাইরোলজিস্ট ডা. নজরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের যে হার তা আসলে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় কম এটা সত্য কিন্তু আসলে এটা কেনো কম তা নিয়ে এখনো কিছু ভাবনার বাকি আছে। নমুনা পরীক্ষা কম হচ্ছে কারণ অনেকেই এখন আসলে নমুনা পরীক্ষা নিয়ে অনীহা প্রকাশ করছেন। একই সঙ্গে আমাদের মৃত্যুর হার অন্যান্য দেশের তুলনায় কম হলেও পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় এখনো আমাদের এখানে মৃত্যুর হার কমে নাই। এই ক্ষেত্রে আসলে একটা কারণ হতে পারে কম নমুনা পরীক্ষার কারণে শনাক্তের সংখ্যা কম হচ্ছে। আবার অনেকের সংক্রমণ দেরিতে শনাক্ত হওয়ার কারণে হাসপাতালে যেতে দেরি হচ্ছে, এটাও মৃত্যুর হার না কমার একটা কারণ হয়ে থাকতে পারে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক এই উপাচার্য আরও বলেন, ‘আরেকটি বিষয় হলো— শনাক্তের হার কমেছে বলেও কিন্তু রিল্যাক্স থাকা যাবে না, কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী যদি বলা হয় তবে এই মাত্রা পাঁচ শতাংশের নিচে নেমে না আসা পর্যন্ত পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের বাইরেই বলতে হবে। আর এক্ষেত্রে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। একই সঙ্গে বাড়াতে হবে নমুনা পরীক্ষাও। সবাইকে নমুনা পরীক্ষার আওতায় আনা না গেলে পরিস্থিতি বোঝা আসলে কষ্টকর। প্রথম দিকে মানুষজন যখন বাসায় ছিল তখন স্বাস্থ্যবিধি কিছুটা হলেও মানা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত নজরদারি রাখা গেছে এমনটা বলবো না কিন্তু যতটুকু ছিল তাতে মানুষজন নমুনা পরীক্ষা করিয়েছে সময় মতো। পরবর্তীতে বর্তমান সময়ের কথা যদি বলা হয় তবে স্বাস্থ্যবিধি কিন্তু আসলে তেমনভাবে মানা হচ্ছে না। আমরা লকডাউন ও রোগী শনাক্ত করা কোনোটাই করতে পারছি না।একদিকে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না আবার অন্যদিকে নমুনা পরীক্ষায় অনীহা, এই দুইয়ে মিলে মৃত্যুর হার বাড়ছে। অথচ আমরা যদি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা নির্বাচন করে নমুনা পরীক্ষা ও আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে পারতাম তবে হয়তো তা কিছুটা হলেও আমাদের বর্তমান পরিস্থিতি বুঝতে সাহায্য করতো।’
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কার্যকরী সদস্য ডা. মোশতাক হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, দেশে শনাক্তের তুলনায় মৃত্যু হার অন্যান্য সময়ের চাইতে কিছুটা বেড়েছে এটা সত্য। কারণ দেশের জনগণ এখনো আসলে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। এটি বিপদজনক হতে পারে। আমরা এখন পর্যন্ত যে নমুনা পরীক্ষা করছি তাতে শনাক্তের পরিমান কিন্তু একেবারে যে কম তাও কিন্তু নয়। হ্যাঁ এই ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে যে এটা আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। তবে মৃত্যুহার বাড়ছে কারণ নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে অনেকেরই অনীহা দেখা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের বর্তমান পরিস্থিতিতে আসলে শনাক্তের হারও একদম কমে গেছে সেটা বলা যাবে না। গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে দেখা হয় তবে এই শনাক্তের হার কিন্তু একটি নির্দিষ্ট মাত্রা আশেপাশে থাকছে। আবার মৃত্যুহার বাড়ছে। কারণ এখানে আসলে আমাদের তথ্যভিত্তিক কিছু ঘাটতি আছে বলেও আমি মনে করি। আমাদের নমুনা পরীক্ষার হার বাড়ানোর পাশাপাশি এলাকাভিত্তিক ভাবে সম্ভব হলে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। এই ক্ষেত্রে হয়তোবা সংক্রমণের মাত্রাটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। তবে সংক্রমণের মাত্রা ৫ শতাংশের নিচে নামার পর তিন সপ্তাহের মতো সে সংখ্যায় স্থির না থাকলে নিশ্চিন্ত হওয়ার কিছু নেই। সকলকে সম্মিলিত ভাবে এইগুলো নিয়ে ভাবা দরকার ও সচেতনভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার দরকার।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘এই সাত মাস সময়ে আমরা পরিসংখ্যান দেখছি তাতে সন্তুষ্ট হওয়ার মতো কিছু নেই। আমাদের নমুনা পরীক্ষার হার কমছে যা আমাদের বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে মানুষকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। বর্তমানে নমুনা পরীক্ষায় অনীহার কারণে দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ সময়ে উপসর্গহীন রোগীদের প্রথমদিকে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। যখন শনাক্ত করা হচ্ছে তখন হয়তোবা হাসপাতালে নিতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। অনেকেই আবার দেখা যাচ্ছে কো-মর্বিডিটি আছে এমন রোগীকে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। পরবর্তী সময়ে হাসপাতালে আনছেন যখন আর কিছু করার থাকে না। এসব কারণেও মৃত্যুর হার বাড়ছে। সামনের দিনগুলিতে তাই এই নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর বিষয়ে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। যেটিকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে আমরা সবাই কাজ করে যাচ্ছি। একই সঙ্গে মানুষকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতেই হবে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকতে এর কোনো বিকল্প নেই।’
এ দিকে সংক্রমণের মাত্রা কম থাকা বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক সারাবাংলাকে বলেন, ‘দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশ এখন পৃথিবীতে অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছে। তবে এতে আমরা থেমে থাকতে চাই না। আমাদের সামনের দিনগুলিতে অনেক কাজ করতে হবে। প্রথমদিকে আমাদের নমুনা পরীক্ষাগারের সংখ্যা ছিল মাত্র একটি, কিন্তু আমরা দ্রুত সময়ে অনেকগুলো ল্যাব স্থাপন করেছি। ১০৭টি ল্যাবে এখন আমাদের নমুনা পরীক্ষা যে পরিমান হচ্ছে তা অবশ্য সংখ্যাগত দিকে আমি কম বলে মনে করি। আমি তাই সবাইকে আহ্বান জানাই যদি লক্ষণ থাকে তবে অবশ্যই নমুনা পরীক্ষা করান। সময়মতো নমুনা পরীক্ষা করার পরে যদি চিকিৎসা নেওয়া যায় তবে আমাদের মৃত্যুর হার আরও কমে আসবে।’