Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সবজির চড়া দামে গাজীপুরের মানুষ দিশেহারা


৯ অক্টোবর ২০২০ ১৫:৩৪

গাজীপুর: অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে গাজীপুরে সবজির বাজার এখন চড়া। গত কয়েকদিনে সবজির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা। কোনো কোনো সবজির দাম দ্বিগুণও হয়েছে। সবজির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডিম ও সয়াবিন তেলের দাম। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচের দাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। বেড়েছে সব সবজির দাম। সবজির দাম কয়েক সপ্তাহ ধরেই নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে। নতুন করে দাম বাড়ায় চাপে পড়েছে মধ্যম আয়ের মানুষও। করোনা দুর্যোগে মানুষের আয় কমে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছে মানুষ।

বিজ্ঞাপন

বাজার ঘুরে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অন্য বছরগুলোতে এ সময় বাজারে সবজির দাম সাধারণত কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে থাকে। এখন সবজির দাম দেড়গুণ বেড়েছে। কোনো কোনো সবজির দাম দ্বিগুণও হয়েছে। শীত মৌসুমের সবজি না আসা পর্যন্ত এমন দাম থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। জয়দেবপুর, হাড়িনাল, রথখোলা, চৌরাস্তা বাজারের আড়তদাররা বলেছেন, করোনার প্রভাব কমলেও উত্তরাঞ্চলে বন্যা থাকায় আড়তে সবজি কম আসছে। এরপর বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক সবজি ক্ষেত। ফলে বন্যা পরিস্থিতিতে সব সবজির দাম বেড়ে গেছে।

গাজীপুর শহরের সড়কে ও আবাসিক এলাকায় ভ্যানে করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, হাইব্রিড করলা ৭০ টাকা, প্রতিকেজি বরবটি ৭০টাকা, চিচিংগা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। টমেটোর  কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা এবং ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।

বিজ্ঞাপন

এসব সবজি বাজার ও মানভেদে কিছুটা কমে পাওয়া যাচ্ছে কচুর মুখি ও পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি। প্রতিটি লাউ ৭০ থেকে ৯০ টাকা, চালকুমড়া ৬০ থেকে ৯০ টাকা।

কাঁচামরিচের দাম দেড় মাস ধরে ২০০ টাকা। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) পর্যন্ত আরেক দফা বেড়ে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে দেখা গেছে। আলুর দাম এখনও কেজিপ্রতি ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা।

শহরের বিভিন্ন বাজারে লালশাক, কলমিশাকের পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে পুঁইশাক। পুঁইশাকের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। আর লালশাক ও কলমি শাক বিক্রি হচ্ছে প্রায় একই দামে।

একজন গৃহিনী ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, এখন ৫০০ টাকা দিয়ে দুই দিনের কাঁচাবাজার করা যায়না। গাজীপুর শহরের রথখোলা এলাকার মতিনের হোটেলের মালিক আব্দুল মতিন বলেন, চাল, ডাল, ডিম, তেল ও অন্য সবজির দাম বেশি। অথচ ভোক্তারা আগের মতোই বিল দিতে চায়। খাবার বিল পাঁচ টাকা বেশি হলেই আপত্তি জানান তারা।

হাড়িনাল এলাকার কৃষি খামারের মালিক শাকিক আহমেদ বুলবুল আহমেদ বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে সবজিক্ষেতের অনেক ক্ষতি হয়েছে। সবজির উৎপাদনও কমে গেছে। তাই বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।

গাজীপুর রাজবাড়ি সড়কে ভ্যানের সবজি বিক্রেতা লতিফ বলেন, উত্তরবঙ্গের সবজিক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। আড়তে কাড়াকাড়ি করে সবজি কিনতে হয়। তাই কিনতে হয় চড়াদামে।

এদিকে চড়া সবজির দামের সঙ্গে বাড়ছে ভোজ্য তেল সয়াবিনের দামও। চলতি সপ্তাহে লিটারে দুই থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এখন খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৮২ থেকে ৮৫ টাকা লিটার। আর বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম পাঁচ টাকা বেড়ে ১০০  থেকে ১১০ টাকা।

গাজীপুর সবজির চড়া দাম সবজির দাম

বিজ্ঞাপন

খুলনায় যুবকের পেটে মিলল ইয়াবা
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০২

আরো

সম্পর্কিত খবর