যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা উপকূলে হারিকেন ডেল্টার আঘাত
১০ অক্টোবর ২০২০ ১৬:৪৫
যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের ক্রেওল উপকূলে আঘাত হেনেছে হারিকেন ডেল্টা। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে বলে সে দেশের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) জানিয়েছে। স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে হারিকেন ডেল্টার বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯০ মাইল। সময়ের সঙ্গে এটি আরও শক্তি হারিয়ে উপকূলীয় নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে এনএইচসি।
ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস জানিয়েছে, ঝড়ের প্রভাবে লুইজিয়ানায় প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর ফলে সেখানে আচমকা বন্যা দেখা দিতে পারে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন অন্তত ৫৫ লাখ মানুষ।
দেশটির আবহওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, হারিকেন ডেল্টার কারণে লুইজিয়ানার বেশিরভাগ এলাকায় ৫ থেকে ১০ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এমনকি কিছু কিছু জায়গায় এর পরিমাণ ১৫ ইঞ্চিতে পৌঁছাতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
এনএইচসি বলছে- হারিকেন ডেল্টা উপকূলে আঘাত হানার সময় ক্যাটাগরি দুই ছিল। তবে এক ঘণ্টা পর শক্তি কমে গিয়ে ক্যাটাগরি এক হয়ে আসে। ঝড়টি এখনো প্রাণঘাতী হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে ডেল্টার বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯০ মাইল। তবে সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এটি শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
ঝড়ের ফলে সেখানে ব্রাপক বৃষ্টি হচ্ছে। এর জেরে লুইজিয়ানায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে। ঘটনা ঘটলে অন্তত ৫৫ লাখ মানুষ পানিবন্দি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, হারিকেন ডেল্টার কারণে লুইজিয়ানার প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। টেক্সাসেও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছেন এক লাখের বেশি বাসিন্দা।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের আঘাত হানার সঙ্গে সঙ্গেই ভয়ঙ্কর একটি রেকর্ড গড়েছে হারিকেন ডেল্টা। এটি চলতি বছরে দেশটিতে আঘাত হানা দশম ঝড়। ২০০৫ সালের পর আর এক মৌসুমে এত বেশি ঝড়ের মুখোমুখি হয়নি যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়া, চলতি বছর দেশটিতে এত বেশি ঝড় হচ্ছে যে, সেগুলোর জন্য পূর্বনির্ধারিত নামের ভাণ্ডারই ফুরিয়ে গেছে। একারণে ১৯৫০ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো নতুন ঝড়ের নামকরণ করতে গ্রিক বর্ণমালা ব্যবহার করা হচ্ছে।
হারিকেন ডেল্টার মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে লুইজিয়ানাতেই তাণ্ডব চালিয়েছিল প্রলয়ঙ্করী হারিকেন লরা। ক্যাটাগরি ৪ মাত্রার এ ঝড়ের কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল উপকূলের শত শত তেল স্থাপনা। এর এক মাস যেতে না যেতে একই অঞ্চলে ফের তাণ্ডব চালায় স্যালি নামে আরেকটি সামুদ্রিক ঝড়।