করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথমবার জনসম্মুখে ট্রাম্প
১১ অক্টোবর ২০২০ ১৪:৩২
বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো এক অনুষ্ঠানে সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর রয়টার্স।
শনিবার (১০ অক্টোবর) হোয়াইট হাউজের বারান্দা থেকে নিচের চত্বরে সমবেত সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার মাধ্যমে ট্রাম্প স্বরূপে ফিরলেন বলে গণমাধ্যমগুলো ধারণা করছে।
এদিকে, ওই অনুষ্ঠানের সাত ঘণ্টা পর প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের চিকিৎসক শন কোনলি জানিয়েছেন, শনিবার প্রেসিডেন্টের আরেকটি পরীক্ষা করা হয়েছে, তাতে দেখা গেছে তিনি আর অন্যদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকিতে নেই।
কোনলির ওই বিবৃতির মাধ্যমে পরীক্ষায় ট্রাম্পের করোনাভাইরাস ‘নেগেটিভ’ এসেছে – তা বোঝানো হয়েছে কি না – তাৎক্ষণিকভাবে তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি হোয়াইট হাউজ।
এরই মধ্যে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৭৭ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং দুই লাখ ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে, শনিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে হোয়াইট হাউজের বারান্দায় একা দাঁড়িয়ে ও মাস্ক ব্যবহার না করে জনসম্মুখে কথা বলেন ট্রাম্প।
প্রথমেই তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, তিনি খুব ভালো বোধ করছেন।
অপরদিকে, হোয়াইট হাউজের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত বেশিরভাগ সমর্থকই ছিল কৃষ্ণকায় ও লাতিনো। তাদের অধিকাংশই মাস্ক পরা ছিলেন কিন্তু সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলেননি। ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকে পাস করাতে সাহায্য করার জন্য উপস্থিত সমর্থকের প্রতি আহ্বান জানান ট্রাম্প।
পাশাপাশি, ডেমোক্রেটদের আক্রমণ করে তাদেরকে ‘সমাজতান্ত্রিক’ আর ‘কমিউনিস্ট’ এজেন্ডা অনুসরণকারী বলে মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়াও, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে উজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে নিজের কৃতিত্ব তুলে ধরেন তিনি। এ সময় ট্রাম্পের ডান হাতে দেহের রঙের সঙ্গে মিলানো রঙের একটি ব্যান্ডজ দেখা যায়।
এর আগে, কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার জন্য ২ অক্টোবর তাকে হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছিল, সেখান থেকে সোমবার তিনি হোয়াইট হাউজে ফেরেন।
ট্রাম্প ও তার প্রশাসন যেভাবে করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবিলার চেষ্টা করেছেন এবং হোয়াইট হাউজে মাস্ক ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে শিথিল আচরণ করেছেন – তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে হোয়াইট হাউজকে। এক আয়োজন থেকেই প্রেসিডেন্ট নিজে এবং তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পসহ তার ৩৪ জন ঘনিষ্ঠ সহযোগী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।