ছিনতাইকাণ্ড তদন্তে নেমে গ্রেফতার গাড়িচোর সিন্ডিকেটের ৬ সদস্য
১১ অক্টোবর ২০২০ ১৫:২৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে প্রাইভেট কার ছিনতাইয়ের একটি মামলার তদন্তে নেমে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। উদ্ধার করা হয়েছে ওই প্রাইভেট কারও। সিআইডি জানিয়েছে, তদন্তে বৃহত্তর চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় গাড়িচোর সিন্ডিকেট শনাক্ত হয়েছে। এই সিন্ডিকেটের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (১০ অক্টোবর) পর্যন্ত টানা তিনদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাড়িচোর সিন্ডিকেটের এই ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডির চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ খালেদ।
গ্রেফতার ছয়জন হলেন— মো. মহিউদ্দিন (২৫), মো. নিজামউদ্দিন (৩০), মো. সোহেল (২৫), জাবেদ হোসেন (২৫), রফিকুল আলম বাদশা (২৪), শাহিন রেজা (২৪)।
পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ খালেদ সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া ১১টার দিকে চার ব্যক্তি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল থেকে পাক্কা রাস্তায় যাবার জন্য যাত্রীবেশে প্রাইভেট কারে ওঠেন। গাড়ি ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ অতিক্রমের পর চালক শাহীনকে জিম্মি করে তারা বায়েজিদ বোস্তামি লিংক রোডে নিয়ে যান। নির্জন সড়কে রাতের আঁধারে শাহীনকে মারধর করে ফেলে দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে যায়। এই ঘটনায় সীতাকুণ্ড থানায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তভার গত ১ অক্টোবর আসে সিআইডির কাছে।
‘তদন্তে নেমে আমরা জানতে পারি, চালক শাহীনের মোবাইল ফোনটিও তারা নিয়ে গেছে। এই মোবাইলের মাধ্যমে তারা গাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং গাড়িটি ফেরত দেওয়ার জন্য দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। ওই ফোনকলের সূত্রে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় একে একে ঘটনায় জড়িত চারজনসহ সিন্ডিকেটের মোট ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছি। কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা এলাকার আহছানিয়া পাড়া থেকে গাড়িটি উদ্ধার করেছি’— বলেন শাহনেওয়াজ।
সিআইডির চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিদর্শক ফজলুল কাদের চৌধুরী সারাবাংলাকে জানান, ছিনতাইয়ে জড়িত মহিউদ্দিনকে চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ছিনতাইয়ের পর সে পালিয়ে চুয়াডাঙ্গায় চলে গিয়েছিল। তার তথ্যের ভিত্তিতে বাকি পাঁচজনকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিজামউদ্দিন ছিনতাইয়ের মূল পরিকল্পনাকারী। শাহিন রেজা ছাড়া বাকি সবাই পেশাদার ছিনতাইকারী।
‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, তারা সবাই বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন জেলায় এবং নগরীতে সংগঠিতভাবে অবস্থান করে। প্রাইভেট কার, সিএনজি অটোরিকশাকে টার্গেট করে। যাত্রীবেশে সেখানে উঠে চালককে জিম্মি করে সেটা নিয়ে যায়। পরে ফেরত দেওয়ার জন্য বিকাশের মাধ্যমে টাকা আদায় করে’— বলেন ফজলুল কাদের।