Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভাষাসৈনিক অধ্যাপক ডা. মির্জা মাজহারুল ইসলাম আর নেই


১১ অক্টোবর ২০২০ ১৮:৪৫

ঢাকা: ভাষাসৈনিক অধ্যাপক ডা. মির্জা মাজহারুল ইসলাম (৯৩) আর নেই। বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বারডেম হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের অনারারি চিফ কনসালটেন্ট ছিলেন। তাকে রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

রোববার (১১ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৯টায় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বারডেম জেনারেল হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক ড. নাজিমুল ইসলাম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রবীণ এই চিকিৎসক ও ভাষা সংগ্রামী বারডেমের আইসিইউতে ভর্তি হন।

একুশে পদক প্রাপ্ত চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখা দেশের অন্যতম প্রবীণ এবং গুণী চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মির্জা মাজহারুল ইসলাম এর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন, অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

অধ্যাপক ডা.কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘চিকিৎসাপেশায় প্রবীণ শিক্ষক, গুণী চিকিৎসক, ভাষাসৈনিক অধ্যাপক ডা. মির্জা মাজহারুল ইসলামের অভাব পূরণ হওয়ার নয়। জাতি তাঁর এই অবদান চিরদিন স্মরণ করবেন। দেশের এই গুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে সমগ্র চিকিৎসক সমাজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য ২০১৮ সালে একুশে পদক পান মির্জা মাজহারুল ইসলাম।

১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করা মির্জা মাজহারুল ইসলাম ১৯৪৭ সালে ভাষা আন্দোলনের জড়িত হন এর সূচনাপর্ব থেকেই। তিনি এ আন্দোলনের প্রথম দুটি সংগ্রাম পরিষদের সদস্য ছিলেন এবং প্রথম শহীদ মিনারের পরিকল্পনা ও নির্মানে তার বিশেষ অবদান রয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভাষা আন্দোলন সংগঠিত করেন তিনি। ভাষা আন্দোলনের প্রায় প্রতিটি ঘটনায় মেডিকেল কলেজের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় ১৯৪৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। এই কমিটিতে তিনি প্রতিনিধি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৪৮ সালে এ পরিষদ সম্প্রসারিত হয়। নিজেকে ভাষা আন্দোলনের ‘আঁতুড় ঘরের’ সাক্ষী বলে দাবি করেন এ ভাষাসৈনিক।

বিজ্ঞাপন

১৯৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের ওপর পুলিশের হামলার পর তিনি হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় অসংখ্য আহত ভাষাকর্মীর অপারেশন করেন। ২১ ফেব্রুয়ারি যোগ দেন আমতলার জনসভায়। গায়েবি জানাজায় অংশগ্রহণ করেন ২২ ফেব্রুয়ারি।

মাজহারুল ইসলামের দাদা মির্জা মাহতাব উদ্দিন বেগ ব্রিটিশ সরকারের নমিনেটেড ডেপুটি পুলিশ সুপারিন্টেডেন্ট এবং বাবা মির্জা হেলাল উদ্দিন ‘ডেভিড অ্যান্ড কোম্পানি’ ও ‘ল্যান্ডেল অ্যান্ড ক্লার্ক’ নামের দু’টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে কর্মকতা ছিলেন। তৎকালীন পূর্ব বাংলার অর্থমন্ত্রী মির্জা নূরুল হুদা ছিলেন তার মামা।

ভাষাসৈনিক মির্জা মাজহারুল ইসলাম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর