অস্ত্র মামলায় পাপিয়া-সুমন দম্পতির সর্বোচ্চ সাজা চায় রাষ্ট্রপক্ষ
১২ অক্টোবর ২০২০ ০৮:০৫
ঢাকা: যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় রায় ঘোষণার জন্য সোমবার (১২ অক্টোবর) দিন ধার্য রয়েছে। এদিন মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করবেন। মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত ২৭ সেপ্টেম্বর এ তারিখ ঠিক করেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানান,পাপিয়া-সুমন দম্পতির বিরুদ্ধে করা মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম দ্রুতই শেষ হচ্ছে। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষের প্রচেষ্টার কোনো ঘাটতি নেই। আশা করছি, আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেবেন আদালত।’
অন্যদিকে পাপিয়ার দম্পতির আইনজীবী শাখাওয়াত উল্যাহ ভূঞা সারাবাংলাকে জানান, ‘এটি একটি সাজানো মামলা। হয়রানি করার জন্য তাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার দেখানো হয়েছে। সাক্ষীদের জেরায় এটি প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। মামলার এজাহার ও অন্যান্য সাক্ষীতে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি রাষ্ট্রপক্ষ। আসামিরা নির্দোষ। আশা করছি তারা খালাস পাবেন।’
মামলাটিতে মোট ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মোট ১২ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। মামলাটিতে চার্জগঠনের পর থেকে ৯ কার্যদিবসে রায়ের পর্যায়ে পৌঁছায়। ৭ সেপ্টেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। ছয় কার্যদিবসে মোট ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। ৯ সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ শুনানিতে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন। ২৪ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করেন। ওইদিন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। ২৭ সেপ্টেম্বর আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আদালত রায়ের তারিখ ১২ অক্টোবর ধার্য করেন।
চলতি বছরের ২৩ আগস্ট একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন। এরপর গত ২৯ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১-এর এসআই মো. আরিফুজ্জামান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন। আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টার সময় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুজন সঙ্গীসহ পাপিয়া ও তার স্বামীকে আটক করে র্যাব-১। ওই সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কিছু মুদ্রা এবং দুটি ডেবিট কার্ড জব্দ করে। পরে পাপিয়ার ফার্মগেটের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন, ২০টি গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড উদ্ধার করে র্যাব।
ওই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অস্ত্র ও একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।
অস্ত্র মামলা ঢাকা সিএমএম আদালত মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড র্যাব-১ শামীমা নূর পাপিয়া