ঢাকা: অস্ত্র আইনের মামলায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মো. মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর ২৭ বছর করে কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। সোমবার (১২ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন।
পাপিয়া-সুমন দম্পতির প্রত্যেকের ২৭ বছর কারাদণ্ডের মধ্যে অস্ত্র আইনের ১৯(এ) ধারায় অবৈধ বিদেশি পিস্তল রাখার জন্য ২০ বছর এবং গুলি রাখার জন্য একই আইনের ১৯ (এফ) ধারায় ৭ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। যা একই সঙ্গে চলবে। তাই আসামিদের ২০ বছর করেই কারাভোগ করতে হবে।
বিচারক রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, আসামি শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিও ও তার স্বামী মো. মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে জড়িত ছিল। তবে তাদের সজ্জন রাজনীতিবিদ বলা যাবে না। তাদের ফ্লাট থেকে ৫৮ লাখ টাকা নগদ উদ্ধার হয়। যার কোনো ব্যাখ্যা তাদের কাছে নাই। এত টাকা কারও বাসায় নগদ থাকতে পারে না। অবৈধ কর্মকাণ্ডের জন্য সুবিধামত সময়ে তারা অস্ত্র ও টাকা ব্যবহার করতেন।
বিচারক আরও বলেন, এ ধরণের রাজনীতিবিদদের দ্বারা দেশ ও জাতির কোনো কল্যাণ হতে পারে না। তারা শুধু নিজের সুবিধাই দেখেন। নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। যদিও অস্ত্র আইনের ১৯(এ) ধারায় সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৯ (এফ) ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। তবুও আসামিরা একই পরিবারের হওয়ায় আদালত তাদের সর্বোচ্চ শান্তি না দিয়ে ১৯(এ) ধারায় ২০ বছর করে এবং ১৯ (এফ) ধারায় সাত বছর করে কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করছে।
রায় ঘোষণার সময় পাপিয়া-সুমন দম্পতিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর উভয়কে বিমর্ষ দেখা যায়। এরপর তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।