শিশু অপহরণ-হত্যায় জয়পুরহাটে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
১২ অক্টোবর ২০২০ ১৭:৫৭
জয়পুরহাট: শিশু অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রায়ব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তম আলী। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে তিনি এ রায় ঘোষণা করেন।
একই সাথে বিচারক মামলার পলাতক এক আসামির ৫ লাখসহ অন্যদের ৩ লাখ টাকা করে জরিমানারও আদেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি অপহরণের মামলায় প্রত্যেক আসামিকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডেরও আদেশ দেওয়া হয়েছে। আসামি ৫ জনের মধ্যে উত্তম কুমার নামের একজন পলাতক থাকলেও অন্য চার জন জয়পুরহাট জেলা কারাগারে রয়েছে।
আদালতের এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদি নিহত শিশুর বাবা পরেশ চন্দ্র।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর দুপুরে পাঁচবিবি উপজেলার রশিদপুর মোলান গ্রামের পরেশ চন্দ্রের আড়াই বছরের শিশুকন্যা আরাধা রাণী বাড়ির পাশে খেলাধূলা করার সময় নিখোঁজ হয়। পরে শিশুটির বাবা পরেশ চন্দ্র ওই দিনই পাঁচবিবি থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন।
মুক্তিপণ আদায়ের জন্য শিশুটিকে ২২ ডিসেম্বর দুপুরে অপহরণের পর মুখ ও হাত স্কচ টেপ দিয়ে বেঁধে আসামি বিরেশ চন্দ্রের বাড়িতে বাক্সবন্দি করে রাখা হয়। পরে সেখানেই শিশুটি মারা গেলে ২৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে শিশুটির মরদেহ বাড়ির অদূরে একটি পুকুর পাড়ে চাপা দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। ২৫ ডিসেম্বর ভোরে পুলিশ শিশুটির মরদেহ বাড়ির অদুরে মোলান বাজারের পাশে একটি পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মঙ্গলবার রায় দেন। রায়ে ৫ জনকেই অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে যাবজ্জীবন এবং মৃত্যুদণ্ডাদেশসহ পলাতক আসামি উত্তম কুমারের ৫ লাখ এবং অন্য আসামিদের ৩ লাখ টাকা করে জরিমানা করেন।
সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌসুলি ফিরোজা চৌধুরী, নন্দ কিশোর আগরওয়ালা ও মোস্তাফিজুর রহমান।
আর আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন রফিকুল ইসলাম, আফজাল হোসেন, হেনা কবির, শহিদলু ইসলাম ও আবু কাউছার।