একা এক পর্যটকের জন্য খুললো মাচু পিচু
১৪ অক্টোবর ২০২০ ০০:০৯
জাপানি পর্যটক জেসি কাতাইয়ামা সাত মাস ধরে অপেক্ষায় ছিলেন, পেরু’র কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র তার জন্যই ইনকা সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ মাচু পিচু’র প্রাচীন শহরের দ্বার খুলে দিয়েছে। খবর বিবিসি।
পেরুর সাংস্কৃতিক মন্ত্রী আলেহান্দ্রো নেইরা সোমবার (১২ অক্টোবর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কাতাইয়ামা মাচু পিচু দেখার স্বপ্ন নিয়েই পেরুতে এসেছিলেন। দেশে ফেরার আগে তিনি যেনো তার সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন তাই সেখানে যাওয়ার বিশেষ অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, আটকে পড়া জাপানি পর্যটক কাতাইয়ামা পেরুর সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের কাছে মাচু পিচু দেখতে চেয়ে বিশেষ অনুমতির আবেদন করেন। তার আবেদনে সাড়া দিয়ে সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় বিশেষ ব্যবস্থায় ওই ঐতিহ্যবাহী স্থান পরিদর্শনের অনুমতি দেয়।
শনিবার (১০ অক্টোবর) কাতাইয়ামা মাচু পিচু ভ্রমণ করেছেন।
বিবিসি প্রকাশিত এক ভিডিওতে কাতাইয়ামাকে মাচু পিচু পাহাড়ের চূড়ায় তার দীর্ঘ প্রতীক্ষার এই ভ্রমণ উদযাপন করতে দেখা গেছে। তিনি বলেন, এ সফর সত্যিই অসাধারণ, ধন্যবাদ।
এদিকে, কয়েকশ বছরের পুরাতন সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ এই মাচু পিচু শহর পেরুতে পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণ। মাচু পিচু দেখতে এ বছরের মার্চে পেরুতে যান জাপানের জেসি কাতাইয়ামা। পরে, করোনা মহামারির কারণে দুই দেশের মধ্যে বিমান যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। একই কারণে বন্ধ হয়ে যায় মাচু পিচু’র দরজাও।
তখন, চরম বিপাকে পড়ে যান কাতাইয়ামা। না পারছিলেন নিজ দেশে ফিরতে, না পারছিলেন মাচু পিচু ঘুরে দেখতে।
অন্যদিকে, পেরুতে এখন পর্যন্ত আট লাখ ৪৯ হাজার মানুষের দেহে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ।
প্রসঙ্গত, মাচু পিচু গড়ে উঠেছিল ১৪৫০ সালের দিকে। পাহাড়ের চূড়ায় তৈরি করা হয়েছিল বলেই হয়ত শহরটির নাম মাচু পিচু। যার অর্থ – পুরাতন চূড়া। মাচু পিচু শহরটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় দুই হাজার ৪০০ মিটার (৭,৮৭৫ ফুট) উঁচুতে অবস্থিত।
কোভিড-১৯ জাপানি পর্যটক জেসি কাতাইয়ামা নভেল করোনাভাইরাস পেরু মাচু পিচু