Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা


১৪ অক্টোবর ২০২০ ১৭:৩১

কুয়াকাটা: ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে ও ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে সারাদেশের নদ-নদীতে ইলিশ মাছ ধরা, বিক্রি, বিপণন, মজুত ও পরিবহনের ওপর ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে।

এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ মাছ ধরা, বিক্রি, বাজারজাত, মজুদ, পরিবহন বন্ধ থাকবে। আইন অমান্যকারীকে এক থেকে ২ বছরের জেল অথবা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। ২২ দিনের এমন কর্মহীন সময়ে জেলেদের জন্য দেয়া হচ্ছে প্রনোদনা।

বিজ্ঞাপন

মা ইলিশ সংরক্ষণে প্রতিবছরের মতো এই বছরও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচির আওতায় নিষেধাজ্ঞার ২২ দিন সমুদ্র উপকূলসহ সারাদেশে কঠোর নজরদারি চলবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

এই ২২ দিন গভীর সমুদ্রে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, সমুদ্র মোহনায় কোস্ট গার্ডের টহল জোরদার থাকবে।

মৎস্য অধিদফতর জানিয়েছে, উপকূলীয় জেলা ও দক্ষিণাঞ্চল মিলিয়ে ৩৬টি জেলায় এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় প্রথমবারের মতো বরিশাল বিভাগের ছয়টিসহ মোট ১৭টি জেলায় বরফ উৎপাদন বন্ধ থাকবে।

এই ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময়ে বরিশাল বিভাগের দুই লাখ ৮২ হাজার ৫০০ জেলে পরিবারের জন্য পাঁচ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন চাল ও সারাদেশে পাঁচ লাখ ২৮ হাজার ৩৪২ জেলে পরিবারের জন্য মোটি ১০ হাজার ৫৬৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে বলে মৎস্য অধিদফতর জানিয়েছে।

মাঝি সবুজ গাজী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অনেক ইলিশ শিকারী জেলে প্রণোদনা পাচ্ছেন না। যারা ছোট ছোট জাল নিয়ে নদী বা খালে মাছ শিকার করে তারা পাচ্ছেন সহায়তা। আলীপুরের এফবি শুকতারা ট্রলারের মাঝি কবির জানান, আমদের দেশে যখন অবরোধ দেয়া হয়। ভারতীয় এবং মায়ানমারের জেলেরা তখন মাছ শিকার করে। আলোচনা করে যদি একই সময়ে
অবরোধ দেয়া হয় তবে আমাদের জন্য ভালো হয়।

বিজ্ঞাপন

কুয়াকাটা-অলীপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি  ও ৭ নং লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ করা গেলে বাড়বে মাছের উৎপাদন। যার সুফল ভোগ করবে জেলেসহ ব্যবসায়ীরা। ফলে বুঝতে পেরে কোন জেলেই এখন আর অবরোধকালে মাছ শিকার করতে যাচ্ছে না। তবে এসময়ে জেলেদের যে সহায়তা
দেয়া হয় তা খুবই নগন্য। জেলেদের সহায়তা বাড়ানো উচিত।

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুল্লা ইমদাদুল্লাহ জানান, বিগত কয়েক বছরে ইলিশ প্রজনন মৌসুমে মৎস্য শিকারের নিষেধাজ্ঞার ধারাবাহিকতায় সাগরে বেড়েছে ইলিশসহ নানা প্রজাতির মাছ। অবরোধ সফল করতে জেলেদের নিয়ে উঠান বৈঠকসহ চলছে ধারাবাহিক গণসংযোগ। সমুদ্রসহ স্থলভাগে সক্রিয় রয়েছে প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।

কুয়াকাটা মা ইলিশ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর