৫০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানি করবে সরকার
১৪ অক্টোবর ২০২০ ২১:০৯
ঢাকা: সৌদি আরব ও কাতার থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় এতে ব্যয় হবে ১১৩ কোটি ৫১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৪ টাকা।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সংক্রান্ত ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানান, বৈঠকে একটি ভেরিয়েশন প্রস্তাবসহ মোট ৪টি প্রস্তাব উপস্থাপিত হয়। এর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুইটি, স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব রয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ২৫০ কোটি ৩৯ লাখ ৮ হাজার ৪৭ টাকা।
তিনি বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে ২য় লটে ২৫ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন। এতে মোট ব্যয় হবে ৫৫ কোটি ৫৮ লাখ ৯১ হাজার ৫৬২ টাকা। সৌদি বেসিক ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (এসএবিআইসি) থেকে এই সার সংগ্রহ করবে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)।
একই অর্থবছরের জন্য অন্য একটি প্রস্তাবে কাতার থেকে ২য় লটে ২৫ হাজার মেট্রিকটন ব্যাগড প্রিল্ড ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন। এতে ব্যয় হবে ৫৭ কোটি ৯২ লাখ ৫২ হাজার ৮১২ টাকা। কাতার কেমিক্যাল অ্যান্ড পেট্রো কেমিক্যাল মার্কেটিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (মুনটাজাত) থেকে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) এ সার আমদানি করবে।
বৈঠকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন আরবান রিসাইলেন্স প্রজেক্ট : রাজউক পার্ট (প্রথম সংশোধন) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন দুই তলা বেজমেন্টেসহ ১০ তলা ভবনে রিসার্স, ট্রেনিং অ্যান্ড টেস্টিং ল্যাবরেটরি ফেকালটিস ফর আরবান রিসাইলেন ইউনিট রাজউক কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন। কাজটি পেয়েছে চীনা স্টেট কনস্ট্রাকশন ইনঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন লিমিটেড। এতে মোট ব্যয় হবে ১১৪ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৮৩৩ টাকা।
চট্টগ্রাম ওয়াসার বাস্তবায়নাধীন ‘চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নয়ন ও স্যানিটেশন প্রকল্প (১ম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কালুরঘাট থেকে পতেঙ্গা বুস্টার পাম্পস্টেশন পর্যন্ত সঞ্চালন মেইন এবং আনুষঙ্গিক বিতরণ পাইপলাইন নির্মাণ (প্যাকেজ-W5) কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন।
বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (চট্টগ্রাম ওয়াসা)। পূর্বের চুক্তিমূল্য ২১৩ কোটি ৪৮ লাখ ১৫ হাজার ২৪৮ টাকা। ভেরিয়েশনের ফলে ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৬৩ হাজার ৮৪০ টাকা বেড়ে মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ২৩৫ কোটি ৩৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮ টাকা। এ কাজটি যৌথভাবে তিনটি কোম্পানি করবে। কোম্পানিগুলো হলো, সানাক্সি ওয়াটার রিসোর্স এন্ড হাইড্রোপাওয়ার ইনঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কো লিমিটেড (এসডব্লিইউইজি), দ্যা সিভিল ইনঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (টিসিইএল) এন্ড ফালগু সন্ধানী লিমিটেড (এফএসএল)।
এর আগে, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র ১৮তম বৈঠকে একটি প্রস্তাব উপস্থাপিত হয়। বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর ২০২০ সময়ে অতিরিক্ত মোগ্যাস (অকটেন ৯৫ RON) আমদানির নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।