Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পুলিশের স্থাপনায় বিস্ফোরণ: দু’জনের দায় স্বীকার, রিমান্ডে ৩ জন


১৪ অক্টোবর ২০২০ ২১:০৮

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার ছয়জনের মধ্যে দু’জন আদালতে দায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি চারজনের মধ্যে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আরেকজন কিশোর বয়সী হওয়ায় তাকে সংশোধনাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৪ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সফি উদ্দিনের আদালতে গ্রেফতার দু’জন জবানবন্দি দিয়েছেন। একই আদালতে রিমান্ড শুনানি হয়েছে। গ্রেফতার কিশোরকেও ওই আদালতেই হাজির করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত বান্দরবান ও চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় অভিযান চালিয়ে এই ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়, যাদের নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবি’র সদস্য বলছে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। তাদের পুলিশ বক্সে বোমা হামলার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

গ্রেফতার ছয়জনের মধ্যে আছেন- মহিদুল আলম (২৪), জহির উদ্দিন (২৮), মঈনউদ্দিন (২৮), রহমতউল্লাহ আকিব (২৪) এবং মো. আলাউদ্দিন (২৩)। গ্রেফতার আরেকজনের বয়স কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১৯ বছর উল্লেখ করেছিল। তবে আদালতে হাজিরের পর তার পক্ষে ১৭ বছর বয়সের প্রমাণ দাখিল করা হলে আদালত সেটি আমলে নেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

পুলিশ বক্সে বোমা হামলা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক আফতাব আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘গ্রেফতার ছয়জনকেই আদালতে হাজির করা হয়েছিল। মহিদুল ও মঈনউদ্দিন স্বেচ্ছায় দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। আকিব, জহির ও আলাউদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। আদালত একদিন মঞ্জুর করেছেন। আরেকজনের বয়স বিবেচনায় আদালত তাকে সংশোধনাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।’

বিজ্ঞাপন

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বিস্ফোরণে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হন, যাদের মধ্যে দুজন ছিলেন সেখানে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সদস্য। এরা হলেন, সার্জেন্ট আরাফাত হোসেন ও এএসআই মো. আতাউদ্দিন। এছাড়া ১০ বছরের এক শিশু এবং আরও দুজন যুবক আহত হন।

এ ঘটনায় ট্রাফিক পরিদর্শক অনিল বিকাশ চাকমা বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন। শুরু থেকেই মামলা তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট গত মে ও জুলাই মাসে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করে। এ নিয়ে পুলিশ বক্সে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মোট ১০ জন গ্রেফতার হয়েছে, যাদের সবাই নিষিদ্ধ নব্য জেএমবির সদস্য বলে জানিয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

বিস্ফোরণের পরদিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জঙ্গি কার্যক্রম নজরদারি সংস্থা ‘সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ’ জানিয়েছিল, জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে প্রথম দফায় তিনজনকে গ্রেফতারের পর কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, এই হামলার পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়ন সবই নব্য জেএমবির। এর সঙ্গে আইএস’র সম্পৃক্ততার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

দায় স্বীকার পুলিশের স্থাপনারয় বিস্ফোরণ রিমান্ড

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর