বগুড়ার সোনাতলায় এখনও ১১ সড়ক পানির নিচে
১৪ অক্টোবর ২০২০ ২২:২১
বগুড়া: বগুড়ার সোনাতলায় চলতি বছরের চতুর্থ দফা বন্যায় যমুনা নদীতে পানি কমলেও বাঙালী নদীতে পানি অপরিবর্তিত আছে। ৪টি ইউনিয়নের ১১ সড়ক ও ৩টি ব্রীজ এখনও পানির নিচে। ফলে পথচারীদের দুর্ভোগ এখনও কমেনি। আবার কিছু কিছু রাস্তায় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় যাত্রীবাহী পরিবহনসহ সকল ধরনের যানবাহন বন্ধ রয়েছে।
চলতি বছর বগুড়ার সোনাতলায় চারদফা বন্যায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি রাস্তাঘাটের বেহাল দশা হয়েছে। এমনকি এখনও ১১ রাস্তা, ৩টি ব্রীজ ও কালভার্টের ওপর থেকে পানি নেমে যায়নি। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো হলো- চকনন্দন-চরমধুপুর রাস্তা, চকনন্দন-আড়িয়ারঘাট, শালিখা পশ্চিমপাড়া থেকে শালিখা প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধুপুর-চর চকনন্দন, হরিখালী-গজারিয়া রাস্তা, পশ্চিম তেকানী পাকা রাস্তা থেকে মোল্লাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রাস্তা, উত্তর করমজা- পশ্চিম তেকানী হিন্দুপাড়া, দড়িহাঁসরাজ-সাতবিলা রাস্তা, কাচারীবাজার-বংশবাড়ী, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ থেকে মহেশপাড়া, তেকানীচুকাইনগর-মহেশপাড়া রাস্তা।
উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ১৮টি গ্রামের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। অন্যদিকে পরপর চারদফা বন্যায় বেশ কিছু রাস্তা খানাখন্দকে পরিণত হওয়ায় যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে পথচারীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাগুলো সংস্কার ও কাঁচা রাস্তা উঁচুকরণে সংশ্লিষ্ট দফতরে তালিকা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে কাজ শুরু হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাশেদ ইমরানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বন্যা পরবর্তী খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাগুলো সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান এড. মিনহাদুজ্জামান লীটন জানান, এলাবাসীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করেই খুব দ্রুত রাস্তাগুলো সংস্কার করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ
দেওয়া হয়েছে।