ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষা প্রকৌশলীর কাজে অনিয়মের অভিযোগ
১৪ অক্টোবর ২০২০ ২২:৩৩
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে রাণীশংকৈল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬তলা ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তরে বেজ ঢালাই কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
জেলা শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর জেলার সেতাবগঞ্জ উপজেলার মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজ ও মা এন্টারপ্রাইজ নামক দুটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টেন্ডার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গত বছরের অক্টোবর মাসে ৬ কোটি ১৭ লাখ ৬৭ হাজার ৯০০ টাকায় বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের কাজে চুক্তি বদ্ধ হয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে কার্যাদেশ পেলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দুটি সম্প্রতি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর এরইমধ্যে সিসি ঢালাই হয়ে গেছে। বর্তমানে বেজ ঢালাইয়ের কাজ চলছে। সে কাজে ঢালাইয়ে পাথর দিয়ে মসলা তৈরিতে নিয়মের চেয়ে বেশি বালু পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে। এক ব্যাগ সিমেন্টে দিয়েই নিয়মের বাইরে গিয়ে মসলা তৈরি করা হচ্ছে। বেজ ঢালাইয়ের নির্ধারিত বোডের মধ্যে জমাট বেঁধে বৃষ্টির পানি রয়েছে। সেই পানির মধ্যেই সিমেন্ট বালু পাথর মিশ্রিত মসলা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে বেজ ঢালাইয়ের জন্য নির্ধারিত থ্রি-ফোর সাইজের পাথরের সঙ্গে ১ ইঞ্চি ও তার বড় সাইজের পাথরসহ ছোট বড় পাথর ব্যবহার করে ঢালাইয়ের কাজ চলছে। তবে লক্ষ্য করে দেখা গেছে অচল পাথরের সংখ্যা বেশি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মিস্ত্রি বলেন, ‘গোটা পাথর ভেঙে থ্রি- ফোর পাথর হয়। তাই বাজারে এ পাথরের দাম একটু বেশি। সেফটি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে পাথর কিনতে পাওয়া যায়। তাই ঠিকাদার এমন পাথর এখানে ব্যবহার করছে।’
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলছেন, নির্ধারিত সাইজের চেয়ে যদি বড় পাথর ব্যবহার করে ভবন নির্মাণ হয়। তাহলে ভবন নির্মাণ কর্তৃপক্ষ কোন পাথরের সাইজ নির্ধারণ করে দিয়েছে? কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ঠিকাদাররা গায়ের জোরে কাজ করছে। আর উপজেলায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে এবিষয়ে অভিযোগ করলে তারাও এড়িয়ে যায়।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সত্বাধিকারী মাহবুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ‘সমস্যা হলে ইঞ্জিনিয়ার পাথর পরীক্ষা করবে। আপনি সাইডে গেছেন সেখানে ম্যানেজার আছে চা মিষ্ঠি খাওয়ার জন্য আপনি কিছু নিতে পারেন আর একজন সাংবাদিকের তো সম্মানি থাকেই।’
শিক্ষা প্রকৌশলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী অলক কুমার কুন্ডু বলেন, ‘পাথরে ছোট বড় রয়েছে তাতে কোনো সমস্যা হবে না।’
ঠাকুরগাঁও শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (অতিরিক্ত ) নির্বাহি প্রকৌশলী দিপক কুমার মণ্ডল মুঠোফোনে বলেন, ‘আমার জানামতে সেখানে নিয়ম অনুযায়ী কাজ হচ্ছে।’