সুবর্ণচরে নারীর খণ্ডিত দেহ, সপ্তাহ পেরোলেও খোলেনি খুনের রহস্য জট
১৫ অক্টোবর ২০২০ ১৭:১৫
ঢাকা: নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরজব্বার ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর জাহাজমারা (চেউয়্যাখালী) গ্রাম। ওই গ্রামের একটি বিলের জমি থেকে নারীর খণ্ডিত মৃতদেহ উদ্ধারের পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এছাড়া কী কারণে এবং কীভাবে বা কতজন মিলে ওই নারীকে খুনের পর তার দেহ টুকরো টুকরো করা হয়েছে তাও জানা যায়নি। ফলে নারীর খণ্ডিত মৃতদেহ উদ্ধারের পর এখনও খোলেনি খুনের রহস্য জট।
৭ অক্টোবর বিকেলে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ধান ক্ষেত থেকে নুরজাহান (৪২) নামের ওই নারীর খণ্ডিত মাথা ও কোমরের অংশ উদ্ধার করে নোয়াখালীর চরজব্বার থানা পুলিশ। পরের দিন বুক ও পায়ের অংশসহ আরও তিনটি টুকরো উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে হুমায়ুন (২৭) বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত নারীর স্বজনদের বরাত দিয়ে চরজব্বার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহীম খলিল সারাবাংলাকে বলেন, ‘বুধবার (৭ অক্টোবর) সকালে ফজরের নামাজ পড়ে হাঁসের জন্য শামুক খুঁজতে প্রতিদিনের মত ওইদিনও বের হন নুরজাহান। বেলা ১১টা পেরিয়ে গেলেও তিনি বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে বের হয়। সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজেও তার সন্ধান মেলেনি। এরপর স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ওইদিন বিকেলে তাদের বাড়ির একটু দূরের ধানক্ষেতে ওই নারীর মৃতদেহের খণ্ডিত মাথা ও কোমর থেকে হাঁটু পর্যন্ত অংশ পাওয়া যায়। পরেরদিন বুক ও পায়ের অংশসহ আরও তিনটি অংশ পাওয়া যায়। এসব খণ্ডিতাংশ বিভিন্ন স্থানে মাটির নিচে লুকানো ছিল। সেখান থেকে মাটি খোঁড়ার একটি কোদালও জব্দ করা হয়েছে।’
ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই নানান তথ্য উঠে আসছে। তদন্তও চলছে। কিন্তু কোনোভাবেই মনে হচ্ছে না এটি কোনো স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে সম্ভব। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে কোনো প্রফেশনাল কিলার এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তবে যেভাবেই হোক না কেনো ঘটনার রহস্য খুব শিগগিরই উদঘাটন হবে।’ তবে এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এই তদন্ত কর্মকর্তার দাবি, সুনির্দিষ্ট তথ্য না পাওয়ায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারছেন না তারা।
একই কথা চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ উদ্দিনের। তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই পুলিশ মাঠে নেমে কাজ করছে। তবে এখনও রহস্য উদঘাটন হয়নি। আশা করছি খুব শিগগিরই খুনের রহস্যের জট খুলবে।’
সন্দেহের তীর প্রতিবেশীর দিকে
ঘটনার পর পরই প্রতিবেশী এক পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। তবে তারা পলাতক থাকলেও তাদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর নয় বলে অভিযোগ নিহতের ছেলে হুমায়ুনের। উল্টো তার আপন ভাইসহ পাঁচজন আত্মীয়কে ডিবি পুলিশ নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ তার।
হুমায়ুন সারাবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনার দিন আমার মা ভোরে ফজরের নামাজের পর হাঁসের জন্য শামুক খুঁজতে বেরিয়েছিল। মা প্রায় সময়ই বের হয়। তাই আমি সকাল আটটার দিকে ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে বাজারের দিকে গিয়েছিলাম। সেখানে আগের দিন রাতে চোর ধরছিল। সেটার বিচার হচ্ছিল। সেখানে ছিলাম আমি। বিচারের কাজ শেষে বাজারের পূর্বপাশে মাটি কাটার কাজ করছিল আমার পরিচিত কয়েকজন। সেখানেও ছিলাম দুপুর পর্যন্ত। এরপর দুপুর দেড়টার দিকে বাড়ি ফিরি। বাড়ি আসার পর ছোট ভাইকে জিজ্ঞেস করি, মা কোথায়? সে বলে, ঘরে নাই। তখন ভাবলাম হয়তো আশেপাশে কারও বাড়িতে গেছে। তাই দুপুরে খেয়ে একটু শুয়ে পড়ি।
হুমায়ুন বলতে থাকেন, “কিন্তু দুপুর দুইটার দিকে আমার দুঃসম্পর্কের এক মামা এসে বলেন, ‘মামাজি আন্নের মার হামুকের (শামুক) ব্যাগ তো ধান ক্ষেতের আইলে পড়ে আছে। উনি তো আশপাশে নাই।’ এটা শুনার পর আমি ঘর থেকে বেরিয়ে মাকে খোঁজার জন্য আশপাশের আত্মীয়দের বাড়িতে ফোন দিয়ে খোঁজ নিই। কিন্তু কেউ বলতে পারে না মা কোথায়। পরে ওই মামাসহ খুঁজতে বের হই যেখানে শামুকের ব্যাগ পড়েছিল। পরে ব্যাগের একটু দূরে ধান ক্ষেতের ভেতরে প্রথমে কোমর থেকে হাঁটু পর্যন্ত মানুষের উলঙ্গ (বিবস্ত্র) দেহ উপুর হয়ে পড়ে থাকতে দেখি। এটা দেখে মামা বললেন, ‘ধরা যাবে না। মেম্বরকে খবর দাও।’ পরে মেম্বরকে খবর দিলে উনি এসে পুলিশকে ফোন দেন। কিন্তু তখনও বুঝতে পারিনি ওইটা আমার মায়ের দেহ।’
হুমায়ুন বলেন, ‘পরে আরও খোঁজাখুঁজির পর আরেকটু দূরে পানিতে চুল ভাসতে দেখে এলাকার একজন। চুল ভাসছে শুনেই দৌড়ে এসে চুল টান দিয়ে দেখি পানির নিচে ডুবে আছে আমার মায়ের মাথা ও মুখ। এটা দেখার পর আমার জ্ঞান হারানোর মত অবস্থা হয়। কোনো রকমে নিজেকে সামলে আইলের উপরে বসে পড়ি। পরে পুলিশ এসে মৃতদেহের খণ্ডিত অংশ থানায় নিয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার পর আমার বারবার মনে হচ্ছে, আমাদের পাশের বাড়ির আমির হোসেন (ছুট্টু মিয়া) এবং তার বোন রোজিনা একাজ করতে পারে। তাদেরকেই আমার বেশি সন্দেহ হয়। কারণ, বছর তিনেক আগে আমির হোসেনের কাছ থেকে আমার বড় ভাই বেলাল হাঁস-মুরগি এবং পুকুর ব্যবসার জন্য লাভের বিনিময় (সুদ) ৪০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। ওই টাকা নেওয়ার এক বছর পর ১০ হাজার টাকা লাভও দিয়েছিল আমির হোসেনকে। এর কয়েক মাস পর বড় ভাই মারা যান। ভাই মারা যাওয়ার পর ওই টাকার জন্য আমাদের চাপ দিচ্ছিল তারা। এমনিক আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলাও করেছিল তারা। পরে আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে এবং নিজেদের হাঁস-মুরগি বিক্রি করে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে থানায় যাই। কিন্তু আমির হোসেন ও তার বোন কোনোভাবেই ৪০ হাজারের এক টাকাও কম নেবেন না বলে জানিয়ে দেন। এটি গত তিন মাসের আগের ঘটনা এটা। এরপর থেকে তারা ভাই-বোন মিলে আমাদের বাড়িতে দুদিন পর পর এসে টাকার জন্য হুমকি দিতো। টাকার বদলে আমাদের কাউকে না কাউকে খুন করে লাশ গুম করারও হুমি দিতো। এ জন্য আমরা তাদের সন্দেহ করছি। কারণ তারা এ ঘটনার পর পালিয়ে গেছে।’
হুমায়ুন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মা খুন হয়েছে। অথচ আমরা যাদের সন্দেহ করছি, পুলিশ তাদেরকে ধরছে না। উল্টো আমাদের সন্দেহ করছে। আমার আপন ভাই নোমান, ইসমাইল (কথিত মামা), মামাতো বোনের জামাই সুমন, ইসমালের স্ত্রী মিনারা বেগম, দুলালকে (আপন মামা) ডিবি পুলিশ নিয়ে গেছে। কাউকে ছাড়েনি। আমার মাথায় একটা বিষয় কোনোভাবেই আসে না যে, আমরা কেনো আমাদের মাকে খুন করব। আমরা গরীব মানুষ। তাছাড়া আমাদের কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতাও নেই। যদি থেকেও থাকে তবুও কি আমরা আমাদের মাকে এত টুকরো করব? কিন্তু পুলিশ যেভাবে আমাদের সন্দেহ করছে তাতে আমি আমার মায়ের হত্যার ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে চিন্তিত।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৃত বেলালের স্ত্রী শেফালী আক্তার সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমার স্বামী তিন বছর আগে ব্যবসার জন্য ছুট্টু মিয়াদের (আমির হোসেন) কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। টাকা নেয়ার এক বছর পর ১০ হাজার টাকা লাভও দিয়েছিল। কিন্তু তার সাত মাস পর আমার স্বামী মারা যান। স্বামী মারা যাওয়ার পর অভাবের সংসার হওয়ায় আমি আমার তিন সন্তান নিয়ে কুমিল্লা চলে আসি। এখানে মানুষের বাড়িতে কাজ করে কোনোমতে সংসার চালিয়ে তিন ছেলেকে নিয়ে থাকি। কিন্তু গত কয়েকমাস ধরে ছুট্টু মিয়ারা টাকার জন্য আমার শাশুড়িতে হুমকি দিতে থাকে। শাশুড়ি প্রায় সময় আমাকে হুমকির বিষয়টা জানাতো। তিনি খুন হওয়ার পাঁচদিন আগেও আমাকে এ কথা বলেছিলেন। কিন্তু সে খুন হওয়ার পর পুলিশ উল্টো আমার দেবরদের সন্দেহ করছে। তাদেরকে ধরে নিয়ে গেছে। অথচ যারা দিনের পর দিন হুমকি দিয়েছে তাদের কাউকে গ্রেফতার করে না পুলিশ।’
এক প্রশ্নের জবাবে শেফালী বলেন, ‘আমার দুই দেবরকে নিয়েই শাশুড়ি থাকতেন। বড় দেবর বউসহ একই বাড়িতে থাকেন। কিন্তু কখনও আমি দেখিনি বা শুনিনি যে তারা কোনো কারণে ঝগড়া করছে। তাই আমার কোনোভাবেই তাদের উপর সন্দেহ হয় না। কারণ আমার শাশুড়িই বলতে গেলে দেবরদের খাওয়ান। উনার হাঁস-মুরগি আছে। সেগুলো দিয়েই সংসার চলে। আর বড় দেবর হুমায়ুন মাঝে মাঝে মাঠে-ঘাটে কাজ করে দুচার পয়সা যায় আয় করে তাই দিয়েই সংসার চলে।’
প্রতিবেশীর সঙ্গে টাকা পয়সা নিয়ে দ্বন্দের বিষয়ে জানতে চাইলে এর সত্যতা স্বীকার করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সিরাজ উদ্দিন। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমির হোসেনরা চার পাঁচ বছর আগে রামগতিতে নদী ভেঙে এখানে বাড়ি করেছে। তারাও আর্থিকভাবে তত সচ্ছল না। তারা হুমায়ুনদের টাকা ধার দেওয়ার পর টাকা না পেয়ে আমার কাছে এসেছিল। আমি সবকিছু শুনে দেখলাম যে, আমার পক্ষে সমাধান করা সম্ভব না। তাই থানায় যেতে বলেছিলাম। পরে শুনেছি থানার কবির দারোগা (এএসআই) বিষয়টা মিমাংসার করতে চেষ্টা করেছিল। পুলিশ যে টাকা দিতে মিমাংসা করতে চেয়েছিল তা নেয়নি আমির হোসেন। শুনেছি ওই টাকা এখনও পড়ে আছে হুমায়ুনের বোনের জামাইয়ের কাছে। তবে টাকার জন্য হত্যার হুমকি দেয়ার বিষয়টি আমি শুনিনি।’
এক প্রশ্নের জবাবে সিরাজ উদ্দিন বলেন, ‘প্রতিবেশীদের সন্দেহ করতেই পারে। কিন্তু কয়েকটি বিষয় নিয়েও দ্বিমত আছে অনেকের। যেমন- আমির হোসেনরা যদি ওই নারীকে খুনই করে তাহলে তাদের জমিতেই কেন, অন্য কোথাও তো করতে পারতো। ওই নারীকে খুন করে নিজেদের জমিতে কেউ লুকাতে চাইবে বলে মনে হয় না। আবার কেউ কেউ ধারণা করছে, ছেলেই খুন করছে। কিন্তু আমার কথা হলো- ছেলেই যদি খুনই করে তাও কি নিজের মাকে এত টুকরো করবে। কোনোভাবেই এসব বিষয় মাথায় আসছে না। পুলিশ যেহেতু তদন্ত করছে, আশা করছি খুব শিগগিরই রহস্য বের হবে।’
তবে এ বিষয়ে একাধিকবার কল করলেও ফোন রিসিভ করেননি চরজব্বার থানার এএসআই মো. কবির হোসেন।
যা বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ঘটনার পর পরই খুনের রহস্যে উদঘাটনে পৃথকভাবে তদন্তে নামেন থানা পুলিশ, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন (র্যাব)। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে ঘটনার সাত দিন পরও কোনো তথ্য দিতে রাজি নয় সংস্থাগুলো। তবে তাদের দাবি, তদন্ত অনেকটাই এগিয়েছে। খুব শিগগিরই মূল রহস্য প্রকাশ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে। বেশকিছু বিষয় সামনে রেখে তদন্ত টিম মাঠে কাজ করছে। খুব শিগগিরই জানা যাবে কে, কেনো এবং কীভাবে এটি ঘটিয়েছে।’
একই কথা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) নোয়াখালীর বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মো. বশির আহমেদের। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বেশ কিছু ক্লু নিয়ে তদন্ত টিম কাজ করছে। আশা করছি খুব শিগগিরই ঘটনা উন্মেচিত হবে।’
তবে এ ঘটনায় তদন্তে নিয়োজিত ডিবির কোনো কর্মকর্তা প্রাকাশ্যে কথা বলতে রাজি হননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, ‘যেহেতু কেউ সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়, তাই তদন্তের স্বার্থে নিহতের স্বজনদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
আর র্যাব বলছে, ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে তারাও ছায়া তদন্তে নেমেছে। এ বিষয়ে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. সাইফুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে ওইদিনই র্যাবের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ওই টিম ঘটনার বিস্তারিত উদঘাটনে মাঠে গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে তৎপর রয়েছে। অপরাধী যেই হোক দুদিন দেরি হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জালে ধরা পড়বেই।’ আপরাধীদের পার পাওয়ার সুযোগ নেই বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
খণ্ডিত দেহ খুনের রহস্য জট চরজব্বার থানা চেউয়্যাখালী জমি জাহাজমারা গ্রাম নোয়াখালী বিল সুবর্ণচর