এসআই আকবরকে খুঁজতে মাঠে নেমেছে পিবিআই
১৫ অক্টোবর ২০২০ ১৭:২৬
ঢাকা: সিলেটের কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার ফাঁড়িতে মো. রায়হান আহমদ (৩৪) নামের এক যুবককে হত্যার ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দায়িত্ব পাওয়ার পর পরই রায়হান হত্যার ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত ফাঁড়ির ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে খুঁজতে মাঠে নেমেছে পিবিআই।
পিবিআই বলছে, ঘটনার পরপরই এসআই আকবরকে বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ঘটনার ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরে পালিয়েছে আকবর। তাই তাকে খুঁজতে তৎপর রয়েছে তদন্ত সংস্থা পিবিআই। সে যেন দেশের বাইরে পালাতে না পারে সেজন্য দেশের সব ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ধানমন্ডিস্থ পিবিআই’র প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার এসব কথা বলেন।
ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘সিলেটের ঘটনার ডকেট আমরা গত পরশুদিন রাতে পেয়েছি। ঘটনাস্থলে সিলেটের পিবিআই টিম তিন থেকে চার ঘণ্টা ছিল গতকাল। আমরা আমাদের তদন্ত শুরু করে দিয়েছি। তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের মনে হয়েছে সাময়িক বরখাস্তকৃত ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর-কেই আমাদের দরকার। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সব তথ্য নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
তিনি বলেন, ‘এ জন্যে দেশের সব ইমিগ্রেশনে আমরা জানিয়ে দিয়েছি যে, আকবর যেন কোনোভাবেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারে। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও সীমান্তের বিভিন্ন ইমিগ্রেশন সেন্টারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আকবর যেন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারে। তাকে ধরার জন্য আমরা টিম রেডি করেছি। তাকে আমাদের খুবই দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আইজিপি স্যার সব সময় বলেন, করোনার মধ্যে তোমরা যে সুনাম কামিয়েছে আকাম করে তা নষ্ট কোরো না। আকবর যেহেতু এই অপকর্ম করে বাহিনীর সুনাম নষ্ট করেছে এবং সে আমাদের কথা চিন্তা করেনি, সুতরাং সে বাহিনীর সদস্য বলে তার বিষয়ে কোন চিন্তা করার সুযোগ নেই।’
১০ হাজার টাকার কারণেই কি এমন ঘটনা ঘটেছে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখছি। একদিনেই তো সব কিছু বলা যাবে না। তবে আমরা একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কবর থেকে তার মরদেহ আবার উঠাবো এবং তদন্ত করব।’
ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরের বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও মামলার ফাইল পাইনি। পেলে তদন্ত কাজ শুরু করব।’ এক্ষেত্রে তদন্ত ভার সিনিয়র কোনো অফিসারকে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।