সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব নাকচ
১৬ অক্টোবর ২০২০ ১৯:৩৫
খুবি: সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া বিভিন্ন প্রস্তাব নাকচ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) প্রধান ফটকের সামনে জিরো পয়েন্ট-ময়লাপোতা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরেই প্রকল্পটির আওতায় প্রধান ফটকের সামনের এক কিলোমিটার অংশে রোড সাইড ওয়াকওয়ে, সার্ভিস রোড ও ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছিল। কিন্তু মূল পরিকল্পনায় স্থান পায়নি তাদের প্রস্তাবগুলো।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মহানগরীর জিরো পয়েন্ট-ময়লাপোতা মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১৪ হাজার যান চলাচল করে। ফলে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত এ সড়কে যানজট লেগেই থাকে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই সড়ক দিয়ে বাস, ট্রাক, ইজিবাইক, পিকআপসহ অন্তত চার-পাঁচ ধরনের যানবাহন সবসময় চলাচল করে। ছোটখাটো দুর্ঘটনা এই সড়কের নিয়মিত দৃশ্য। দফায় দফায় সংশোধনের পর অবশেষে এই বছরের ৪ আগস্ট সড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প পাস হয়।
এ ছাড়া সংশোধিত প্রকল্পের বিষয়ে খুলনা সিটি করপোরশনের মেয়র, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি), সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, সওজের প্রধান প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদেরপত্র দেওয়া হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ নিশ্চিত করেছে। পত্রের সঙ্গে প্রকল্প সংশোধনের জন্য একটি থিম্যাটিক ডিজাইনও দেওয়া হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের অংশে প্রায় ১৫০ ফুট চওড়া সড়কের প্রতি দুই লেনে ৩০ ফুট করে ৬০ ফুট প্রশস্ত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। মাঝখানে ১০ ফুট আইল্যান্ড, উভয় পাশে ১৫ ফুট করে সার্ভিস রোড রাখারও প্রস্তাব করা হয়েছে। এই সার্ভিস রোড দিয়ে রিকশা-ভ্যানসহ নন-মোটরাইজড ভেহিকল চলার সুযোগ থাকবে।
খুলনা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান মাসুদ জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর কাছে প্রকল্পের কয়েকটি বিষয় অন্তর্ভুক্তির অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
এরই মধ্যে মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও খুলনা-২ আসনের এমপি সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে আলাদা সুপারিশপত্র পাঠিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফায়েক উজ্জামান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজারো শিক্ষক- শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ মানুষের নিরাপদ যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রকল্পে এই বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।’