এমন হাসি রবে না আর, বিষাক্ত ইনজেকশনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে তার
১৭ অক্টোবর ২০২০ ১১:৪৪
এই নারীর হাসিটা বেশ স্নিগ্ধ। ছবি দেখেই তা বোঝা যায়। কিন্তু এই হাসি হয়ত আর দেখা যাবে না। কারণ তিনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দাগী আসামি। আর দুই মাস পর বিষাক্ত ইনজেকশন প্রয়োগ করে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে মার্কিন সরকার।
আর এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে তা হবে মার্কিন প্রশাসনের ইতিহাসে দীর্ঘ ৬৭ বছর পর কোনো নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার ঘটনা।
মার্কিন বিচার বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, লিসা মন্টগোমারি নামে ওই আসামিকে আগামী ৮ ডিসেম্বর লেথাল ইনজেকশন প্রয়োগের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।
২০০৪ সালে মিসৌরিতে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার গর্ভের সন্তানকে চুরি করার চেষ্টা করেছিলেন লিসা। ইন্ডিয়ানার টেরে হাউতে এখন বন্দি রয়েছেন লিসা।
অন্তঃসত্ত্বা নারীকে অপহরণের পর হত্যার দায় প্রমাণিত হওয়ায় ২০০৭ সালে লিসার মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিলেন মিসৌরির একটি জেলা আদালত। সংসারে কোনো সন্তান না হওয়ায় এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর সন্তানকে চুরি করতে চেয়েছিলেন লিসা।
লিসার আইনজীবি কেলি হেনরির দাবি, লিসা মন্টগোমারি ছোটবেলায় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন এবং বর্তমানে মানসিকভাবে অসুস্থ। এ কারণে তিনি বেঁচে থাকার যোগ্য।
উল্লেখ্য যে ১৯৫৩ সালে মিসৌরিতে গ্যাস চেম্বারে বসিয়ে বনি হেডি নামে এক নারী আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল মার্কিন প্রশাসন।
শুক্রবার মার্কিন বিচার বিভাগ আরও জানিয়েছে, আগামী ১০ ডিসেম্বর ব্র্যান্ডন বার্নার্ড নামে আরেক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডের দিন ধার্য করা হয়েছে। ১৯৯৯ সালে দুই যুব মন্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ দুইজনের মৃত্যুদণ্ড হতে চলেছে চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে অষ্টম ও নবম মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা।
গত জুলাইয়ে প্রায় ১৭ বছরের বিরতি ভেঙে আবারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
সবশেষ ২০০৩ সালে ব্যবহৃত তিনটি ওষুধের মিশ্রণে মৃত্যুদণ্ডের বদলে মাত্র একটি বিষাক্ত ওষুধ ব্যবহারের নীতিও চালু করেছে মার্কিন প্রশাসন।