মানি লন্ডারিং আইনের ২ মামলায় রাশেদ চিশতির জামিন
১৯ অক্টোবর ২০২০ ১৫:৫১
ঢাকা: মানি লন্ডারিং আইনের দুই মামলায় ফারমার্স ব্যাংক (পদ্মা ব্যাংক) কেলেঙ্কারি ও পদ্মা ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।
এদিন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তার জামিন আবেদনরে উপর শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক এ দুই মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর একই আদালতে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।
কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।
এর মধ্যে গত ২১ জুলাই করা প্রথম মামলায়, প্রায় ৬৩ কোটি টাকা আত্মসাত ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ব্যাংকটির সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মতিঝিল শাখা প্রধান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মজুমদার, বগুড়ার আল-ফারুক ব্যাগস লিমিটেডের চেয়ারম্যান চৌধুরী আল ফারুক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেদওয়ানুল কবির চৌধুরী, তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক নিম্মি কবির চৌধুরী।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঋণের নামে পদ্মা ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে ৪০ কোটি ৭৯ লাখ ২১ টাকা নিয়েছিলেন। যা ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুদ ও আসলে ৬২ কোটি ৯৬ লাখ ৭৫ হাজার ৬১৯ টাকা হয়। আসামিরা এই অর্থ পরিশোধ না আত্মসাৎ ও পাচারের করেন।
অপর মামলাটি হয় এ বছর ২৭ জুলাই। এই মামলায় স্বাস্থ্যখাতের প্রতারক রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদও আসামি। মামলার অপর দুই আসামি হলেন- রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিল, পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী-অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে ঋণের নামে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড, গুলশান কর্পোরেট শাখার দুই কোটি টাকা নেন। সাহেদের এক কোটি টাকার একটি এফডিআর থাকায় তা সমন্বয় করার পর ২০২০ সালের ১৫ জুলাই পর্যন্ত সুদসহ তার খেলাপি অর্থের পরিমান দাঁড়ায় ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এই অর্থ পরিশোধ না করে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ ও পাচার করেন।