নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যানের তাগিদ
২০ অক্টোবর ২০২০ ১৪:৪৮
ঢাকা: সঠিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণে সঠিক পরিসংখ্যানের বিকল্প নেই। তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তাদের কাছে পৌঁছাতে পারলেই সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে। বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস-২০২০ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এসময় তারা নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যানের তাগিদ দেন।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) দ্বিতীয়বারের মতো দিবসটি পালন করেছে বাংলাদেশ। এবারের বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. পি কে মতিউর রহমান। পরিসংখ্যানের উপ-মহাপরিচালক সুবব্রত ঘোষ এতে স্বাগত বক্তব্য দেন। মূল প্রবদ্ধ উপস্থাপন করেন আবুল কালাম আজাদ ও এ কে এম আশরাফুল ইসলাম।
মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস পালিত হচ্ছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘কানেক্টিং দ্যা ওয়ার্ল্ড উইথ ডাটা উই ক্যান ট্রাস্ট’। জীবন ও জনপদের সামগিক উন্নয়নের প্রয়োজনে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য জাতীয় পরিকল্পনা নেওয়া সঠিক সময়োচিত পরিসংখ্যান প্রণয়ণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
প্রফেসর ড. পি কে মতিউর রহমান বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস উদযাপনকে স্বাগত জানাই। ২০ অক্টোবর বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবসটি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান সমিতির যৌথ উদ্যোগে পালিত হচ্ছে। এটি প্রতি পাঁচ বছর পর পর পালিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশের বিপুল জনগোষ্ঠির সমস্যা নানাবিধ যেমন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আবাসন ইত্যাদি। এসব সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য সঠিক পরিকল্পনা ও সঠিক তথ্যের বিকল্প নেই।’
সভাপতির বক্তব্য তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যেকোনো দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সঠিক ও সময়মতো পরিসংখ্যান প্রাপ্তি গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া এসডিজির তথ্য ঘাটতি পূরণে ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোভিডের কারণে জনশুমারি বিলম্বিত হচ্ছে। এটি হলে এসডিজি পরিমাপক ২৯টি নির্দেশকের তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে।’
সূত্র জানায়, ২০১০ সাল থেকে জাতিসংঘোষিত বিশ্ব পরিসংখ্যান দিবস পালিত হয়ে আসছে। প্রতি পাঁচবছর পর পর দিবসটি পালিত হয়।