Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চাহিদা বাড়ছে এলপিজির, নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন সংশোধনের উদ্যোগ


২১ অক্টোবর ২০২০ ১১:০১

ঢাকা: জ্বালানি হিসেবে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গৃহস্থালির পাশাপাশি অটোমোটিভ জ্বালানি হিসেবে যানবাহনেও এর ব্যবহার বেড়েছে। বিশেষ করে মফস্বল শহরগুলোতে এলপিজির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। পাইপলাইনে নতুন গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকায় নতুন নতুন ভবনের বাসিন্দাদের ভরসাও এলপিজি। দিন দিন চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এই গ্যাস বিক্রিও হচ্ছে যত্রযত্র। কিন্তু এলপিজি বিক্রিতে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ তা কোথাও মানা হচ্ছে না। সেজন্য আইনের অসঙ্গতি দূর করতে সংশোধনীর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আইনের অসঙ্গতির কারণে যততত্র এলপিজি বিক্রি ঠেকানো যাচ্ছে না। কারণ ‘গ্যাস আইন-২০১০’-এ গ্যাসের ধরন অনুযায়ী সঞ্চালন, বিপণন, বিতরণ, সরবরাহ, মজুদকরণ চুক্তি, উৎপাদন, ব্যবহার, সমীক্ষা, গবেষণা, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ কীভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে তার বিশদ উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু গ্যাসের মতো বিপজ্জনক জ্বালানি বিশেষ করে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বিক্রির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ অনেকটাই ঢিলেঢালা। যে কারণে সরকার চাইলেও এলপিজি বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স জব্দ বা বাতিল ছাড়া অন্য কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবেন না। যে কারণে আইনটি সংশোধনে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে জ্বালানি বিভাগ।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, দেশের যততত্র এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি বন্ধ করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জ্বালানি বিভাগ। নিয়ম অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজও শুরু করেছিল তারা। কিন্তু কাজের শুরুতেই ঘটে বিপত্তি। মাঠে নেমে কর্মকর্তারা দেখেন, বর্তমান যে ‘গ্যাস আইন-২০১০’ রয়েছে তাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জ্বালানি বিক্রির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কোনো বিধান নেই। ফলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কার্যক্রম আটকে যায়।

এ প্রসঙ্গে জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘আইনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। সেজন্য আপাতত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা স্থগিত রাখা হয়েছে। আইনের জটিলতা কিংবা কোনো অসঙ্গতি দেখা গেলে তা দূর করে সময়পোযোগী সিদ্ধান্ত সংযোজনের প্রয়োজন হলে সে উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

ধরন অনুযায়ী এলপিজি গ্যাস বাতাসের চেয়ে ভারি হয়। যে কারণে এই গ্যাস বাতাসে না উড়ে আবদ্ধ স্থানে জমে থাকে। আর সেখানে যদি আগুনের সংস্পর্শ আসে তাহলে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

উল্লেখ, ২০১৯ সালে ৮১টি এলপিজি সিল্ডিন্ডার বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন কমপক্ষে ১০০ জন। বর্তমানে এলপিজি ব্যবহারের সংখ্যা ৪০ লাখ ছাড়িয়েছে। চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে এলপিজি ব্যবহারে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। সেজন্য ২০১০ সালের গ্যাস আইনটিকে যুগপোযোগী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

উদ্যোগ এলপিজি গ্যাস আইন-২০১০ চাহিদা জ্বালানি বিভাগ বাড়ছে সংশোধন

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর