জেকেজির প্রতারণা মামলা: সাক্ষী না আসায় ওসিকে ব্যাখ্যার নির্দেশ
২১ অক্টোবর ২০২০ ১৫:৫৮
ঢাকা: করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার নামে জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রতারণা ও জাল সনদ দেওয়ার অভিযোগের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির দুই শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা ও আরিফুল চৌধুরীসহ আট জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে। আগামী ৩ নভেম্বর নতুন করে দিন ঠিক করেছেন আদালত।
বুধবার (২১ অক্টোবর) মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল।
কিন্তু এদিন সাক্ষী আদালতে হাজির না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষে থেকে সময়ের আবেদন করেন। অবেদনের প্ররিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারী পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন করে এ তারিখ ধার্য করেন। একই সাথে আদালত শুলশান-খিলগাঁও থানার ওসির কাছে কেন সাক্ষী আদালতে উপস্থিত হয়নি সেজন্য (শো-কজ) ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটরই আজাদ রহমান এ তথ্য জানান।
মামলাটিতে ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ছয় জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত অপর ছয় আসামিরা হলেন- সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদ। বর্তমানে এ আটজনই কারাগারে রয়েছেন।
মামলার তদন্ত শেষ হওয়ায় গত বুধবার (৫ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট জিআর শাখায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী এ চার্জশিট জমা দেন।
চার্জশিটে জেকেজি হেলথ কেয়ারের কম্পিউটারে এক হাজার ৯৮৫টি ভুয়া রিপোর্ট ও ৩৪টি ভুয়া সার্টিফিকেট জব্দের কথা বলা হয়েছে।
গত ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। ওই ঘটনায় তেজগাঁও থানায় প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।