সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম লিটারে কমলো ২ টাকা
২২ অক্টোবর ২০২০ ১২:২৮
ঢাকা: সয়াবিন তেল ও পাম অয়েলের দাম কমানো হয়েছে। মিলগেটে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ২ টাকা কমিয়ে ৯০ টাকা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে পাম অয়েল লিটার প্রতি ২ টাকা কমিয়ে ৮০ টাকায় বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণা অনুযায়ী, সয়াবিন ও পামওয়েল তেলের দাম লিটার প্রতি ২ টাকা কমিয়েছে ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বকসী জানান, সকালে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তেল ব্যবসায়ীরা। সেখানে সয়াবিন ও পামওয়েল তেলের দাম লিটারে ২ টাকা করে কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ায় দেশের ব্যবসায়ীরা পণ্যটির দাম বাড়ানোর একটি প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে (বিটিটিসি)। পণ্য বিপণন আদেশ ২০১১ অনুসারে ব্যবসায়ীরা প্রস্তাব দিলে ওই প্রস্তাব নিয়ে পর্যালোচনা সভা হয় এবং মূল্যবৃদ্ধির কোনো কারণ খুঁজে না পাওয়ায় ব্যবসায়ীদের পাঠানো দাম অনুমোদন হয়নি।
বরং বিটিটিসির বলা হয়, এই মুহূর্তে বিশ্ববাজারে কিছুটা দাম বাড়লেও দেশের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো চলতে পারবে। এছাড়া করোনা মহামারির সময়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার কথা বিবেচনায় নিয়ে এবং লাভের কিছু অংশ ছাড় দিয়ে মূল্য আগের জায়গায় রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানানো হয়েছে। বিটিটিসি কার্যালয়ে গত সোমবার এই পর্যালোচনা সভা হয়।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত এক মাসে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ৯ শতাংশ। গতকাল বুধবার প্রতি লিটার বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ৯৪ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও তা ছিল ৮২ থেকে ৯৩ টাকা। আর এক মাস আগে ছিল ৮২ থেকে ৮৭ টাকা লিটার।
জানা গেছে, দেশের বাজারে এক মাস আগেও পাম অয়েল ছিল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা লিটার। বর্তমানে তা ৮৮ থেকে ৯০ টাকা। এক মাসের মধ্যে দুই দফায় লিটারে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। প্রতি লিটার তীর ব্র্যান্ডের তেল বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা। আর রূপচাঁদা পাঁচ লিটারে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৩০ টাকা। দেশে ১২টি প্রতিষ্ঠান ভোজ্য তেল সরবরাহ করে। দেশে মজুদ এবং সরবরাহ পরিস্থিতিও ভালো।