Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনায় আটকে থাকা পরীক্ষা নিয়ে শঙ্কায় চবি শিক্ষার্থীরা


২২ অক্টোবর ২০২০ ১২:৩০

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম ব্যুরো: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) বন্ধ থাকায় বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের দুয়েকটি কোর্সের পরীক্ষা বাকি থাকতেই স্থগিত হয়ে যায়। সেকারণে সেশনজটসহ উভয় সংকটে পড়েছেন বলে শঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে স্থগিত পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধনও করেছেন তারা। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন।

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে আছে, যাদের পরীক্ষার রুটিন হয়েছিল কিন্তু করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করায় পরীক্ষা শুরু করতে পারেনি। অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের পরীক্ষার নতুন রুটিন ঘোষণা করে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা, হলগুলো শুধু পরীক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া এবং অ্যাডমিট কার্ডের মাধ্যমে হলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া।

হল খুলে না দিলেও নিজ নিজ বিভাগকে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া, যাদের দুই থেকে চারটি বা এর বেশি পরীক্ষা হয়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে শেষ হয়ে যাওয়া পরীক্ষাসমূহের মূল্যায়নকৃত গ্রেডের ভিত্তিতে ফলাফল প্রকাশ করা যে পদ্ধতি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তান অনুসরণ করেছে, পরীক্ষা ইস্যুতে আটকে না থেকে পরবর্তী বছরের ক্লাস অনলাইনে শুরু করা যেভাবে ঢাবি, জাবিসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রকোপ বিস্তার রোধে ছুটি ঘোষণার আগে বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা চলছিল। বেশিরভাগ বিভাগ সম্পূর্ণ পরীক্ষা শেষ করলেও কিছু বিভাগ পরীক্ষার মাঝামাঝিতে এসে আটকে যায়। অনেকের পরীক্ষা রুটিন দেওয়া হয়েছিল কিন্তু করোনার কারণে পরীক্ষা শুরু করতে পারেনি।

আবার অনেকের দুই-তিনটা কোর্সের পরীক্ষা বাকি থাকতেই পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। পরীক্ষা শেষ না হওয়ায় রেজাল্ট প্রকাশিত হচ্ছে না। যার ফলে তারা পিছিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তবে বেশিরভাগ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। পরীক্ষায় আটকে যাওয়াতে একদিকে সেশনজট ও বিভিন্ন চাকরিতে আবেদন করতে পারছেন না বলে জানান তারা।

এর আগে, সোমবার (১৯ অক্টোবর) বিভিন্ন বিভাগের স্থগিত পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পাঁচ দফা দাবিতে স্মরকলিপিও জমা দেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয়টি ইনস্টিটিউট ও ৪৮টি বিভাগে সর্বমোট শিক্ষার্থী আছেন প্রায় ২৭ হাজার ৫৫০ জন। শিক্ষক আছেন ৯০৭ জন। করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ক্ষতি ‘পুষিয়ে নিতে’ গত ৬ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। তবে দ্রুত গতির ইন্টারনেট অভাব, ভালোমানের ডিভাইস না থাকায় অর্ধেক শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে পারছেন না বলেও জানা গেছে।

বাংলা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র শহীদুল ইসলাম সবুজ সারাবাংলাকে বলেন, আমাদের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষার রুটিন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে পরীক্ষা শুরু হয়নি। পরীক্ষা আটকে যাওয়াতে সেশনজটে পড়ে গেছি। এছাড়াও বিভিন্ন চাকরিতে আবেদন করতে পারছি না। সে কারণে আমাদের মধ্যে একধরণের ভবিষ্যতে অনিশ্চয়তা ও হতাশা তৈরি হয়েছে।

পরিসংখ্যান বিভাগের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের দু্ইটা থিওরি কোর্সের পরীক্ষার কারণে আটকে গেছি। শীতকালে করোনার প্রকোপ আরও বাড়তে পারে৷ এরমধ্যে যদি পরীক্ষাগুলো নিয়ে রেজাল্ট বের হয়ে যায়। তাহলে আমরা চাকরিতে আবেদন করতে পারব। যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকত পরীক্ষা ও রেজাল্ট হয়ে যেত। পরীক্ষা আটকে যাওয়াতে আমরা স্বাভাবিক থেকে পিছিয়ে গেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি মানবিক দিক বিবেচনা করে পরীক্ষাগুলো নেয় তাহলে আমাদের সবার জন্য ভালো হয়

আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ফোরকান সারাবাংলাকে বলেন, গত মার্চ মাসের ১৯ তারিখ আমাদের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের লাস্ট পরীক্ষা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে আট মাস ধরে একটা কোর্সের পরীক্ষা বাকি থাকতে আটকে আছি। আমি চিন্তা করছি কোর্টে প্রাকটিস করব। কিন্তু সেই সুযোগটাও হচ্ছে না। কারণ আমার অনার্স ফাইনাল হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান সারাবাংলাকে বলেন, যেসব বিভাগের পরীক্ষাগুলো আটকে আছে সেগুলো একাডেমিক কাউন্সিল ছাড়া হবে না। দ্রুত একটা একাডেমিক কাউন্সিল করা হবে। তবে তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি।

করোনা চবি টপ নিউজ পরীক্ষা


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

‘আমাদের সেনাবাহিনী যেন তৈরি থাকে’
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:২৯

আগস্টে কমেছে মূল্যস্ফীতি
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:০৭

সম্পর্কিত খবর