ওয়ালটন ফ্রিজে না.গঞ্জের রিকশাচালক হাবিব পেলেন ৫০০% ক্যাশ ভাউচার
২২ অক্টোবর ২০২০ ২১:৪৮
ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্য কিনে আকর্ষণীয় সব সুবিধা পাচ্ছেন ক্রেতারা। এবার ওয়ালটনের একটি ফ্রিজ কিনে ৫০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জের রিকশাচালক হাবিব বিশ্বাস। ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৮-এর আওতায় এ সুবিধা পেয়েছেন তিনি। ওই টাকায় ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনসহ ১০টি ওয়ালটন পণ্য নিয়েছেন হাবিব। এতে মহাখুশি হাবিবের পরিবার।
ওয়ালটনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনলাইন অটোমেশনের আওতায় আরও দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারাদেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। এখন চলছে ক্যাম্পেইনের সিজন ৮। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন ও মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশ ভাউচার। আছে ফ্রিজ, টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনারসহ অসংখ্য ফ্রি পণ্য পাওয়ার সুযোগ। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এসব সুবিধা থাকছে।
ডিজিটাল রেজিস্টেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর ও বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা মিলবে। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে ক্যাম্পেইনের আওতায় নানা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বন্দর উপজেলার এস এস শাহ রোডে ওয়ালটন প্লাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে হাবিব বিশ্বাসের হাতে ক্যাশ ভাউচার তুলে দেওয়া হয়। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর আব্দুল হান্নান, ওয়ালটনের যাত্রাবাড়ী জোনের এরিয়া ম্যানেজার মাকসুদ আলম ও বন্দর প্লাজা ম্যানেজার শাহেদ মাহমুদসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
ক্রেতা হাবিব বিশ্বাস জানান, তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ মোট সাত সদস্যের পরিবার তার। বাড়ি বরগুনার বালিয়াতলি ইউনিয়নের ঝিনইবাড়িয়ায়। অভাবের তাড়নায় প্রায় এক যুগ আগে পরিবারসহ গ্রাম ছেড়ে নারায়ণগঞ্জে আসেন। বন্দর পৌর এলাকার একরামপুরে ছোট একটি বাসায় বসবাস তাদের। সেই থেকে প্রাচ্যের ড্যান্ডি খ্যাত নারায়ণগঞ্জে ভাড়ায় রিকশা চালান হাবিব।
তিনি জানান, নিজেদের ফ্রিজ না থাকায় প্রতিবেশীর ফ্রিজে মাছ-মাংস রাখতে হতো। এতে তারা বিরক্ত হতেন। তাই ধার করে সাড়ে ১৯ হাজার টাকা দিয়ে বন্দর ওয়ালটন প্লাজা থেকে একটি ফ্রিজ কেনেন তিনি। এরপরই ৫০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে। সেই ক্যাশ ভাউচার দিয়ে চারটি মোবাইল ফোন এবং একটি করে ল্যাপটপ, এলইডি টিভি, ব্লেন্ডার, স্ট্যাবিলাইজার, ওয়াটার পিউরিফায়ার ও রিচার্জেবল ফ্যান কিনেছেন তিনি।
হাবিব বলেন, সন্তানদের পড়ালেখা ও বিনোদন এবং স্ত্রীর সাংসারিক কাজে প্রয়োজনীয় এসব পণ্য কেনা ছিল আমার সাধ্যের বাইরে। কিন্তু ওয়ালটনের একটি ফ্রিজ কিনে আজ আমার অভাবের সংসার জিনিসপত্রে ভরে গেছে। ক্রেতাদের জন্য এমন সুযোগ রাখায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ।
কর্তৃপক্ষ জানায়, আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারী সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ওয়ালটন ফ্রিজের রয়েছে বিএসটিআইয়ের ফাইভ স্টার এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিং। ফ্রিজ উৎপাদন ও রফতানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট।
বর্তমানে বাজারে রয়েছে শতাধিক মডেলের ওয়ালটন ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট, ডিপ ফ্রিজ ও বেভারেজ কুলার। এসব ফ্রিজের দাম ১০ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০ হাজার ৯০০ টাকা পর্যন্ত। ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেশরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন।
পাশাপাশি ক্রেতারা পাচ্ছেন ওয়ালটনের ১৪ মডেলের ওয়াশিং মেশিন। ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসব মেশিনের দাম ৬ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ৪৮ হাজার টাকার মধ্যে। ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিনে গ্রাহকরা সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত মোটর ওয়ারেন্টি পাচ্ছেন।
এছাড়া বাজারে রয়েছে ১৩ মডেলের ওয়ালটন মাইক্রোওয়েভ ওভেন। দাম ৬ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে ১৯ হাজার টাকার মধ্যে। নগদ মূল্যের পাশাপাশি ইএমআই এবং কিস্তি সুবিধায় ওয়ালটন পণ্য কেনার সুযোগ থাকছে।