Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঝাল কমেছে কাঁচা মরিচের, নিয়ম মানছে না আলু 


২৩ অক্টোবর ২০২০ ১৬:১৬

ফাইল ছবি

ঢাকা: বাজারে কাঁচা মরিচের দাম আরও কমেছে। ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে এখন কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, কিছু সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। আর পেঁয়াজের দামও কমতির দিকে। তবে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না আলু। খুচরা বাজারে এখনও ৪৫ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম আগের মতোই রয়েছে।

শুক্রবার (২৩  অক্টোবর) কারওয়ানবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন তথ্য জানা গেছে।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা,  বারমা ৭০ ও চায়না ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে আমদানিকৃত পেয়াজের পরিমাণ খুবই কম। আর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা, আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা দোকানগুলোতে আমদানিকৃত পেঁয়াজ খুবই কম। এছাড়া কারওয়ান বাজারে চায়না আদা ২৩০ টাকা, চায়না রসুন ৮৫ থেকে ৯০ টাকা ও দেশি রসুন ১১০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এছাড়া পাইকারি বাজারে আলু ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে৷ আর খুচরা বাজারে আলুর দাম ৪৫ টাকা। একাধিক বিক্রেতা জানিয়েছেন, বাজারে কেজিতে আলুর দাম কমেছে ৫ টাকা। তবে বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি হচ্ছে না।

সবজির মধ্যে কারওয়ান বাজারে বেগুন ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা,  টমেটো ১০০ টাকা ও গাজর ৭০ টাকা, কাঁচামরিচ ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।  এই বাজারের বিক্রেতা আনিস সারাবাংলাকে বলেন, কিছু সবজির দাম আগের মতোই রয়েছে। নতুন করে আরও কিছু সবজির দাম কিছুটা কমেছে।

আর মহাখালীর বউবাজারে সবজির মধ্যে পেঁপে ৪০ টাকা, ঢেরস ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, শিম ১২০, বেগুন ৮০ টাকা ও করলা ৮০ টাকা, টমেটো ১০০ কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। ফুলকপি ৫০, পাতাকপি ৫০ এবং লাউ ৬০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে৷

আর এই বাজারে শসা ৬০ টাকা ও কাঁচামরিচ ১৮০ থেকে  থেকে ২০০ টাকা টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ৪০ টাকা হালিতে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা, রসুন ১০০ টাকা ও আদা ২০০ থেকে ২৬০ টাকা ও আলু ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এই বাজারের সবজি বিক্রেতা সেলিম সারাবাংলাকে বলেন, দুয়েকটি সবজির দাম কমেছে। কিন্তু বাজার এখনো বাড়তিই রয়েছে।

এদিকে, বাজারে চালের দাম গেল সপ্তাহের মতোই স্থির রয়েছে। সরকার পাইকারি পর্যায়ে বা মিল গেটে চালের দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে আগের দামেই চাল বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে এখন মিনিকেট ৫৫ থেকে ৬০টাকা, আটাশ ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, নাজিরশাইল ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর পাইকারি বাজারে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) মিনিকেট চালের দাম পড়ছে ২৭৫০ থেকে ২৮০০ টাকা, আটাশ ২৪০০ টাকা ও নাজিরশাইল ২৩০০ থেকে থেকে ৩০০০ টাকা।

বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক গাফফার হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, চালের দাম আগের মতোই রয়েছে।  মহাখালীর বউবাজারের দোকানী শরিফ মিয়া বলেন, চালের দাম এখনো বাড়তি রয়েছে। কারওয়ানবাজারের হাজী ইসমাইল এন্ড সন্সের মালিক জসিম উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, নতুন করে চালের দাম আর কমেনি। চালের বাজার এখন কিছুটা স্থির।

এদিকে, কারওয়ান বাজারে গরু ৬০০ ও খাসি ৯০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগি ১৩০টাকা, পাকিস্তানি কর্ক ২২০ টাকা ও সাদা কর্ক ২০০ ও দেশি মুরগি ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দাম বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে।

আলু কাঁচামরিচ টপ নিউজ সবজির দাম


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর