এবার মার্কিন মধ্যস্থতায় সুদান-ইসরায়েল চুক্তি
২৪ অক্টোবর ২০২০ ০৮:৪৮
মার্কিন মধ্যস্থতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এবং বাহরাইনের পর এবার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে সুদান। খবর রয়টার্স।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগেই ইসরায়েল এবং সুদান সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে শান্তিচুক্তিতে রাজি হয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টেলিফোনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু এবং সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদকের সঙ্গে কথা বলে চুক্তি চূড়ান্ত করেন।
পরে, হোয়াইট হাউজ থেকে এক ঘোষণায় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইসরায়েল এবং সুদান শান্তি স্থাপন করতে রাজি হয়েছে। দুই দেশের জন্য এ চুক্তি অভাবনীয়।
পাশাপাশি, এই চুক্তিকে মধ্যপ্রাচ্যে রক্তপাতবিহীন শান্তির চুক্তি বলে বর্ণনা করেছেন ট্রাম্প।
এই চুক্তি চূড়ান্ত করার আগে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রের তালিকা থেকে সুদানের নাম বাদ দিয়ে দেশটিতে অর্থনৈতিক সাহায্য এবং বিনিয়োগের দ্বার খুলে দেন। আর এতেই ইসরায়েলের সঙ্গে সুদানের চুক্তির পথ সুগম হয়। গত দুই মাসের মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে হাঁটা তৃতীয় আরব দেশ হচ্ছে সুদান।
এর আগে, মধ্যপ্রাচ্যে দুই উপসাগরীয় আরব দেশ আমিরাত এবং বাহরাইন ২৬ বছরের মধ্যে প্রথম শান্তিচুক্তির মধ্য দিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে সই করেছে এই দেশ দুটি।
সুদান-ইসরায়েলের বন্ধুতা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য ৩ নভেম্বরের নির্বাচনের আগে দিয়ে পররাষ্ট্রনীতিতে একটি বড় অর্জন বলে উল্লেখ করেছেন বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু এই চুক্তিকে ওই অঞ্চলের জন্য নতুন যুগের সূচনা বলে আখ্যা দিয়েছেন।
অপরদিকে, ফিলিস্তিনের নেতারা এ চুক্তিকে তাদের পিঠে আরেকটি ছুরিকাঘাত হিসেবে বর্ণনা করছেন। আরব মিত্র দেশগুলোকে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের গুরুত্বকে আমলে না নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সখ্য গড়তে দেখছেন তারা।
এছাড়াও, ট্রাম্প তার ঘোষণায় জানিয়েছেন – অন্তত আরও পাঁচটি আরব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করতে চায়। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবও সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে।
আবদাল্লা হামদক ইসরায়েল বাহারাইন মার্কিন মধ্যস্থতা যুক্তরাষ্ট্র সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সুদান