ব্যারিস্টার রফিক অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন: জি এম কাদের
২৪ অক্টোবর ২০২০ ১৯:৩৫
ঢাকা: প্রখ্যাত আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের)।
শনিবার (২৪ অক্টোবর) এক শোকবার্তায় প্রয়াত রফিক-উল হকের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন। পাশাপাশি শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন জাপা চেয়ারম্যান।
শোকবার্তায় জাতীয় জি এম কাদের বলেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ছিলেন একজন আদর্শ মানুষ। তার সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও সাহসিকতা ছিলো অনন্য উচ্চতায়। ব্যারিস্টার রফিক অসাধারণ যোগ্যতায় পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকতে অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মৃত্যুতে জাতি এক অকৃত্রিম অভিভাবককে হারিয়েছে মন্তব্য করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, রফিক-উল হকের মৃত্যুতে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা সহসাই পূরণ হওয়ার নয়।
তিনি আরও বলেন, প্রচলিত রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক সবসময় রাজনীতিবিদদের যেমন সহায়তা করেছেন, তেমনি রাজনীতির কঠোর সমালোচনা করতেও পিছুপা হননি কখনো।
প্রখ্যাত এই আইনজীবীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জানাজার পর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানান সব স্তরের মানুষ। পরে বিকেলে বনানী কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে দাফন করা হয় তাকে।
এর আগে, গত ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হককে আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৭ অক্টোবর তিনি কিছুটা সুস্থবোধ করলে বাসায় ফিরে যান। কিন্তু বাসায় ফেরার পরপরই আবার তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। রক্তশূন্যতাসহ বিভিন্ন ধরনের বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
রফিক-উল হকের জন্ম ১৯৩৩ সালের ২ নভেম্বর, কলকাতায়। ১৯৫৮ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৬১ সালে অর্জন করেবার-অ্যাট-ল ডিগ্রি।
১৯৬০ সালে কলকাতা উচ্চ আদালতে আইনজীবী হিসেবে বারের সদস্য হন রফিক-উল হক। ১৯৬২ সালে তিনি ঢাকা উচ্চ আদালতে যোগ দেন, ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে অ্যাডভোকেট হিসেবে ভর্তি হন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে সিনিয়র আইনজীবী হিসাবে যোগ দেন। ১৯৯০ সালে নিয়োগ পান অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে।
আলোচিত বিভিন্ন মামলায় লড়ার কারণে আদালত প্রাঙ্গণের এক পরিচিত মুখ বর্ষীয়ান এই আইনজীবী। ওয়ান-ইলেভেনের সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার অভিযোগ আনা হয়। ওই সময় তিনি তাদের দু’জনেরই পরামর্শক ছিলেন।
জাপা চেয়ারম্যা জি এম কাদের ব্যারিস্টার রফিক ব্যারিস্টার রফিক-উল-হক শোক