ব্যারিস্টার রফিকের মৃত্যুতে বিরোধী দলীয় নেতার শোক
২৪ অক্টোবর ২০২০ ১৯:০২
ঢাকা: সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক- উল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বার্ধক্যজনিত কারণে রাজধানীর আদ- দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
শনিবার এক শোকবার্তায় বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ছিলেন এ দেশের আইন অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। গণতন্ত্র, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ভাবমূর্তি রক্ষায় একজন অকুতোভয় আইনজীবী হিসেবে তিনি আজীবন সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি বলেন, দেশের ক্রান্তিকালে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ও আইনি বিষয়ে তার মূল্যবান পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহযোগিতা করেছে। বিশাল খ্যাতির শিখরে অবস্থান করা এই আইনজীবীর জীবনের অন্তরালে ছড়িয়ে আছে তার অনেক কৃতিত্ব। তিনি এক অনন্য সমাজসেবী।
বিরোধী দলীয় নেতা আরও বলেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক পেশাগত জীবনে কখনো কোনো রাজনীতিতে জড়িত হননি। কিন্তু রাজনীতিবিদরা সবাই তাকে কাছে টেনে নিয়েছেন। তার অবদান দেশবাসী গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখবে। বিজ্ঞ এই আইনজীবীর মৃত্যুতে জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হলো।
বিরোধী দলীয় নেতা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
রফিক-উল হকের জন্ম ১৯৩৩ সালের ২ নভেম্বর, কলকাতায়। ১৯৫৮ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৬১ সালে অর্জন করেবার-অ্যাট-ল ডিগ্রি।
১৯৬০ সালে কলকাতা উচ্চ আদালতে আইনজীবী হিসেবে বারের সদস্য হন রফিক-উল হক। ১৯৬২ সালে তিনি ঢাকা উচ্চ আদালতে যোগ দেন, ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে অ্যাডভোকেট হিসেবে ভর্তি হন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে সিনিয়র আইনজীবী হিসাবে যোগ দেন। ১৯৯০ সালে নিয়োগ পান অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে।
আলোচিত বিভিন্ন মামলায় লড়ার কারণে আদালত প্রাঙ্গণের এক পরিচিত মুখ বর্ষীয়ান এই আইনজীবী। ওয়ান-ইলেভেনের সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার অভিযোগ আনা হয়। ওই সময় তিনি তাদের দু’জনেরই পরামর্শক ছিলেন।