মঠবাড়িয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ
২৫ অক্টোবর ২০২০ ১৩:০৭
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর): পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার কে এম লতীফ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোস্তফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও শিক্ষক কর্মচারীদের ভাতা ১৯ মাস ধরে স্থগিত রাখার অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষকরা সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন।
শনিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মো.খলিলুর রহমান ২০ জন শিক্ষকের স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন ।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক অবসরে গেলে ২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোস্তফিজুর রহমান যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে শিক্ষকদের নানাভাবে হয়রানি ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন । গত ১৯ মাস ধরে শিক্ষদের পাওনা ভাতা বন্ধ করে রেখেছেন বলে মন্তব্য করেন শিক্ষকরা।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অনুদান দুই লক্ষ টাকা। ওই বছর একটি বেসরকারি সংস্থার সম্মেলন খরচ বাবদ ৬০ হাজার টাকা চলতি বছর বিদ্যালয়ের ম্যাগাজিন প্রকাশ বাবদ ৩ লক্ষ ২১ হাজার টাকার ভুয়া বিলসহ বিদ্যালয় ফান্ডের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের অর্থে নির্মিত কে এম লতীফ সুপার মার্কেটে ৬৫০ টি দোকান রয়েছে। ওই দোকান বরাদ্দ বাবদ স্টল প্রতি ২ লক্ষ টাকা নেয়া হয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের অন্যান্য আয়সহ বিদ্যালয়ের ফান্ডে আনুমানিক ১০ কোটি টাকা গচ্ছিত থাকার কথা। যা এখন শূন্যের কোঠায় বলে শিক্ষকদের মন্তব্য।
অভিযোগ ওঠে, মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকে বিদ্যালয় ফান্ড থেকে প্রতিমাসে ১৯ হাজার ৩৪৫ টাকা নেন অথচ এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা যোগদানের সময় মাত্র ৫০০ টাকা পান। তিনি প্রত্যক্ষ মদদ দিয়ে আমির সিরাজী নামে এক ভাড়াটে মামলাবাজ দিয়ে পিরোজপুর আদালতে মামলা দায়ের করে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন স্থগিত করান। তিনি বিদ্যালয়ের জাতীয়করণের মামলার নামে বিদ্যালয়ের ১৮ লক্ষ টাকা অপচয় করেন। বিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা খানসাহেব হাতেম আলীকে স্বাধীনতাবিরোধী আখ্যা দিয়ে চরম অপমান করেন বলে শিক্ষকদের দাবি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ সত্য নয় দাবী করে বলেন, বিদ্যালয়ের অর্থ খরচ আমার একার আওতাভুক্ত নয়। সংশ্লিষ্ট খরচের ভাউচার সংরক্ষিত আছে।