প্রথমদিকেই ভ্যাকসিন পাব: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
২৫ অক্টোবর ২০২০ ১৮:১৬
ঢাকা: করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পেতে সরকারি-বেসরকারিভাবে প্রচেষ্টা জারি আছে জানিয়ে, প্রথমদিকেই ভ্যাকসিন পাওয়ার আশার কথা জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ আশাবাদ জানান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে ভার্চুয়াল এই সভায় যোগ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, কোভিড ১৯ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভ্যাকসিন সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এটা পর্যালাাচনা করা হয়েছে। যাতে দ্রুত আমরা ভ্যাকসিন পেতে পারি সে বিষয়ে সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টা জারি আছে। আশা করি প্রথমদিকেই ভ্যাকসিন পাবো।
ভ্যাকসিনের বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে এ বিষয়ে প্রচেষ্টা বিরাজমান আছে। আমরা চীনকে পারমিশন দিয়ে রেখেছি। তাদের ফান্ডিংয়ে শর্টেজ আছে, সেজন্য সেটা নিয়ে আলোচনা করছি আমরা। তারা হয়তো অ্যাপ্রোচ করবে যে বাংলাদেশ থেকে কিছু ফান্ডিং করা যায় কি না। তবে এটি বাদ যায়নি।
সম্প্রতিকালে অক্সফোর্ডের ২ কোটি ভ্যাকসিন এইমাসে আসছে বলে স্বাস্থ্যসচিবের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাই তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি ডেট বলতে পারছি না। তবে খুব ভালোভাবেই সেটা আগাচ্ছে।’
শীতে সেকেন্ড ওয়েভের বিষয়ে প্রস্তুতির কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন কোনো সমস্যা হবে না। একটি ট্রিটমেন্ট প্রটোকল আছে। আমাদের কিন্তু প্যানিকটা চলে গেছে। শুরুতে বিষয়টা বোঝা যাচ্ছিল না। এখন ট্রিটমেন্ট করতে করতে অনেক অভ্যস্ত হয়ে গেছে চিকিৎসকরা। হাসপাতালগুলোর জন্য নির্দেশনা আছে কোভিড এবং নন কোভিড আলাদা করে করার জন্য। সব হাসপাতালেই এখন আলাদা ইউনিট হয়ে গেছে, কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, নারী এ শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন-২০২০-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। কয়েকদিন আগে এর একটি অর্ডিন্যান্স করা হয়েছে। যেহেতু তখন পার্লামেন্ট ছিলে না, সেজন্য এটা তখন অর্ডিন্যান্স হিসাবে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেটিই আইনের ড্রাফট হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে চূড়ান্ত ভেটিং করে দেওয়া হয়েছে। সংসদ না থাকা অবস্থায় কোনো অর্ডিন্যান্স হলে সংসদ শুরু হলে সংসদে সেটি উপস্থাপন করতে হয়। সেই ড্রাফটাই আজ নিয়ে আসা হয়েছে। অর্ডিন্যান্সকে আইনে রূপান্তর করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর এই অর্ডিন্যান্স চলাকালে যে কাজগুলো হয়েছে সেগুলো হেফাজত করা হয়েছে।