সরকারি বা বেসরকারি— মাস্ক না পরলে সেবা মিলবে না কোথাও
২৫ অক্টোবর ২০২০ ১৯:৪০
ঢাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সরকারি সব ধরনের অফিস-আদালতে সেবাপ্রার্থীদের জন্য মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর জানা গেল— কেবল সরকারি নয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবা পেতে হলেও মাস্ক পরতেই হবে।
রোববার (২৫ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সীমিত পরিসরে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। এসময় তিনি আরও জানান, শীতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে পারে— এমন আশঙ্কায় সংশ্লিষ্ট সবাইকেই ‘ম্যাসিভ ইনস্ট্রাকশন’ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে সরকারি অফিসের পাশাপাশি বেসরকারি অফিসগুলোতেও মাস্ক ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। কেউ কোনো সেবা নিতে গেলে তার যদি মাস্ক না থাকে, তাহলে তাকে কোনো সেবাই দেওয়া হবে না।
মাস্ক পরা সবার জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, আমাদের আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক, সামাজিক বা যত ধরনের প্রতিষ্ঠান আছে, সবার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি— নো মাস্ক নো সার্ভিস। অর্থাৎ মাস্ক না পরলে কোনো সেবা দেওয়া হবে না। তাছাড়া হাট-বাজার, শপিংমল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সামাজিক ও ধর্মীয় সম্মিলনে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। এটা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মাস্ক পরা না থাকলে কেউ সরকারি-বেসরকারি অফিসে প্রবেশই করতে পারবে না— অফিসের বাইরে এরকম পোস্টার টাঙাতে বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মানছে কি না, সেটি পরিদর্শন করা হবে বলেও জানান সচিব।
সবাইকে মাস্ক পরার বিষয়ে সচেতন করে তুলতে আরও নানা ধরনের কর্মকাণ্ড চলবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি জানান, এরই মধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মসজিদগুলোতে দিনে দুই বার নামাজের পর মাস্ক পরার বিষয়টি প্রচার করার কথা বলা হয়েছে। গণপরিবহনে যেন সবাই মাস্ক পরে তা নিশ্চিত করতে সড়ক সচিব, নৌ সচিব এবং রেল সচিবের সঙ্গে দুয়েকদিনের মধ্যেই বসবেন বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।