খালেদা-গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ফের পেছাল
১৩ মার্চ ২০১৮ ১৫:১৩
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: মানহানির একটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ফের পিছিয়ে আগামী ১১ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ব্যক্তিদের ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে মানহানিকর মন্তব্যের মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল আজ মঙ্গলবার (১৩ মার্চ)। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেননি। এ জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।
এ নিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৬ বার সময় নিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
গত ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী মানহানির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহার বলা হয়, গত ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘তিনি তো বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। আজকে বলা হয়, এত শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’
ওই বছরের ২৫ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রিজভী আহমেদ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রসঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা পাকিস্তানের বেতন-ভাতা খেয়েছেন, তারা নির্বোধের মতো মারা গেলেন। আর আমাদের মতো নির্বোধরা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে তাদের ফুল দেই। আবার না গেলে পাপ হয়। তারা (শহীদ বুদ্ধিজীবীরা) যদি বুদ্ধিমান হতেন তবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিজ ঘরে থাকলেন কেন?’
এসব বক্তব্য পর দিন বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ওই বক্তব্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও শহীদ বৃদ্ধিজীবীদের নিয়ে কটাক্ষ করে, স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, যা মানহানিহর।
সারাবাংলা/এআই/আইজেকে