ইরফানকে বাঁচানোর চেষ্টায় সহযোগীরা, জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি
২৯ অক্টোবর ২০২০ ১৯:৪৪
ঢাকা: নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় রিমান্ডে থাকা হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম ও তার সহযোগীদের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল ধানমন্ডি থানার মামলায় আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিল। কিন্তু মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশের কাছে পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি থানা পুলিশ তাদের ডিবি পুলিশের (ডিবি তেজগাঁও বিভাগ) কাছে হস্তান্তর করে।
ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেন, ‘গতকালই মামলার নথিপত্র ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। আর আজ ওই মামলার আসামিদের ডিবি নিয়ে যায়।’
পুলিশের একজন কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, ‘রিমান্ডে আসামিদের কাছে সেদিন রাতের ঘটনা জানতে চাওয়া হয়েছিল। এ সময় ইরফানের সহযোগীরা বলেন, তারা কোনো নির্দেশনা ছাড়াই গাড়ি থেকে নেমে মারধর করে নৌ কর্মকর্তাকে। এর মধ্য দিয়ে সহযোগীরা ইরফানকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে করছে পুলিশ। তবে প্রত্যেককে আলাদাভাবে এবং যৌথভাবেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রয়োজনে পুনরায় রিমান্ডের আবেদন করা হতে পারে।’
পৃথক ৪ মামলায় ইরফান ও তার দেহরক্ষীকে ২৮ দিন রিমান্ডে চায় পুলিশ
হাজি সেলিমের ছেলে কাউন্সিলর ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী জাহিদ ও হাজি সেলিমের একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এ বি সিদ্দিক দীপুর বিরুদ্ধে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। অন্যদিকে, র্যাবের দায়ের করা অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায়ও ইরফান ও জাহিদের সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করবে বলে জানিয়েছে ডিবি।
গত ২৫ অক্টোবর রাতে কলাবাগানের ট্রাফিক সিগন্যালে হাজি সেলিমের একটি গাড়ি থেকে দুই-তিন ব্যক্তি নেমে নৌ কর্মকর্তা ওয়াসিম আহমেদ খানকে ফুটপাতে ফেলে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। পরদিন ২৬ অক্টোবর ভোরে হাজি সেলিমের ছেলে ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান। মামলার আসামিরা হলেন- এরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ, হাজি সেলিমের মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জন।
এরপর সকাল ১১টার দিকে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত হাজি সেলিমের চকবাজারের বাসায় অভিযান চালায়। তখন বিদেশি মদ, ইয়াবা, বিদেশি পিস্তলসহ গুলি এবং অবৈধ ফ্রিকোয়েন্সিসহ ৩৮টি ওয়াকিটকি জব্দ করে র্যাব। পরে ইরফান ও জাহিদকে একবছর করে কারাদণ্ড দেয় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম। এছাড়া র্যাব তাদের দুই জনের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে দু’টি করে চারটি মামলা দায়ের করেছে।
ইরফান সেলিম ওয়াসিফ আহমদ খান নৌবাহিনী হত্যাচেষ্টার অভিযোগ হাজি সেলিম হাজি সেলিমের ছেলে