প্রিমিয়ার লিজিং ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকে অনিয়ম, অনুসন্ধানে দুদক
২৯ অক্টোবর ২০২০ ২০:১৭
ঢাকা: প্রিমিয়ার লিজিংয়ের হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ঋণ বিতরণে অনিয়ম ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ উঠেছে, এসব অনিয়মের সঙ্গে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ফিরোজ আলমসহ একটি সিন্ডিকেট জড়িত।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) দুদক সূত্র জানিয়েছে, দুদকের উপপরিচালক আশরাফুন নাহারের সভাপতিত্বে একটি টিমকে এসব অনিয়ম অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। টিমের সদস্য হিসেবে আরও আছেন উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ।
দুদক সূত্রে জানা যায়, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ আলম ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রিমিয়ার লিজিংয়ের অর্থ আত্মসাৎসহ নামে-বেনামে ব্যাংকের শত শত কোটি টাকা ঋণ বিতরণ দেখিয়ে আত্মসাৎ, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার করেছেন। কাগজে-কলমে প্রিমিয়ার লিজিংয়ের খেলাপি ঋণ এক-তৃতীয়াংশ। যদিও বাস্তবতা বলছে, প্রতিষ্ঠানটির খেলাপি ঋণ অর্ধেকেরও বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংক ও প্রিমিয়ার লিজিংয়ের তথ্য বলছে, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের প্রায় সব শীর্ষ গ্রাহকই নাম লিখিয়েছে খেলাপির খাতায়।
২০০১ সালে যাত্রা করা প্রিমিয়ার লিজিংয়ের মোট আমানত ৮০৭ কোটি টাকা। এরই মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি ঋণ ও লিজিং হিসেবে ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। বিনিয়োগ করা অর্থের বড় অংশই ফেরত না পাওয়ায় আমানতকারীদের অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির কাছে প্রায় ৯০০ আমানতকারীর জমা আছে ৯৫ কোটি টাকার সঞ্চয়। আমানত হিসেবে রাখা এ অর্থ ফেরত পাচ্ছেন না গ্রাহকরা।
এদিকে, মোট ১ হাজার ৭২০ কোটি টাকা সম্পদের প্রিমিয়ার লিজিং ঋণ, মেয়াদি আমানত ও কলমানি হিসেবে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ধার করেছে ৭০০ কোটি টাকার বেশি।
অর্থ আত্মসাৎ ঋণ বিতরণে অনিয়ম দুদক দুর্নীতি দমন কমিশন প্রিমিয়ার লিজিং ভাইস চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম মার্কেন্টাইল ব্যাংক