ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব: নভেম্বর থেকে ফের ডিএনসিসির অভিযান
৩০ অক্টোবর ২০২০ ০০:৫২
ঢাকা: ইদানিং ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং ডেঙ্গুবাহিত রোগের বাহক এডিস মশার প্রাদর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ফের নভেম্বর থেকে অভিযান শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। সেই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ অভিযানও চালানো হবে।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে অনলাইনে আয়োজিত এক জরুরি সভায় ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।
সভায় মেয়র আতিকুল ইসলাম ডিএনসিসি এলাকায় অবস্থিত যে সকল হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী রয়েছে সে সকল হাসপাতালের আশেপাশে নিবিড়ভাবে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্টদের। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী থেকে এডিস মশার মাধ্যমে সংক্রমণ যাতে না ঘটে সে জন্য মেয়র এই নির্দেশ দেন।
এছাড়া হাসপাতালে অবস্থানরত ডেঙ্গু রোগীদের ঠিকানা সংগ্রহ করে তাদের বাসার আশেপাশে মশক নিধন কার্যক্রম আরও জোরদার করার জন্য মেয়র নির্দেশ দেন।
মেয়র বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে নগরবাসীকে মশা এবং মশাবাহিত রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে হবে। এ জন্য আমরা চতুর্থ প্রজন্মের কীটনাশক আমদানি করেছি। এরইমধ্যে কিছু আধুনিক যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে এবং আরও আনা হচ্ছে।’
সভায় জানানো হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এ মুহূর্তে ডিএনসিসি এলাকায় ১২ জন ডেঙ্গু রোগী আছে। ডিএনসিসি এলাকার পাঁচটি বেসরকারি হাসপাতালে এ সকল ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করছে। এরইমধ্যে এই ১২ জন রোগীর ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়েছে। মেয়রের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের বাসার আশেপাশে মশার কীটনাশক প্রয়োগ জোরদার করা হবে বলে সভায় জানানো হয়। এছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা যে সকল হাসপাতালে অবস্থান করছেন সে সকল হাসপাতালের আশেপাশেও মশার কীটনাশক প্রয়োগ জোরদার করা হচ্ছে। এ ছাড়া ডিএনসিসির নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও মাতৃসদনগুলোতে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত কিট রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে তিনটি চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়। চিরুনি অভিযানে প্রাপ্ত তথ্য একটি অ্যাপসে সংরক্ষণ করা হয়। অ্যাপসে সংরক্ষিত তথ্য অনুযায়ী মশার কীটনাশক প্রয়োগ জোরদার করা হয়েছে। এ সকল স্থানে সম্প্রতি যুক্তরাজ্য থেকে আনা চতুর্থ প্রজন্মের কীটনাশক নোভালিউরন প্রয়োগ করা হচ্ছে। এছাড়া ডিএনসিসির সর্বত্র নিয়মিত লার্ভিসাইডিং (মশার ডিম ও লার্ভা নিধনের কীটনাশক) ও এডাল্টিসাইডিং (উড়ন্ত মশা নিধনের কীটনাশক) অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএনসিসির তথ্য বিভাগ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া, কারা মহাপরিদর্শক ও ডিএনসিসির সাবেক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, উপ প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে. কর্নেল মোস্তফা সারোয়ার ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা।